Print

Bhorer Kagoj

এক কোটিরও বেশি মেয়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে

প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৮, ২০২২ , ৯:২৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: মার্চ ৯, ২০২২, ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াকে নারীকেন্দ্রিক রাখার আহ্বান জানান ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক। বিশ্বব্যাপী এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি মেয়ে মহামারির পর স্কুলে ফিরতে পারবে না বলে আশঙ্কা করছে ইউনিসেফ। সেই সঙ্গে নারীদের জন্য বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর কঠোর লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আসা অর্জনকে স্বীকার করে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বানও জানায় তারা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা আমাদের সমাজে নারী ও মেয়েদের অর্জিত সাফল্য উদযাপন করি এবং সেগুলো যেন সর্বত্র সব মেয়ের কাছে পৌঁছায় তার জন্য আমরা নিজেদের প্রতিশ্রুতি দ্বিগুণ করি। তবে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার লড়াই এখনও শেষ হয়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, আসলে করোনাভাইরাস মহামারির আগেও লিঙ্গ বৈষম্য ছিল। কিন্তু মহামারির প্রভাবে তা বহুগুণ বেড়েছে।।

তিনি জানান, বিশ্ব যেহেতু মহামারি প্রাদুর্ভাবের তৃতীয় বছরে প্রবেশ করছে এবং মহামারি পরবর্তী সময়ের কাজ চলছে, তাই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় অবশ্যই নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাথরিন রাসেল বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি মেয়েদের জীবন ধ্বংস করেছে। স্কুল বন্ধ, অর্থনৈতিক চাপ এবং পরিষেবার ব্যাঘাতের কারোণে সবচেয়ে অরক্ষিত মেয়েদের স্বাস্থ্য, সামগ্রিক কল্যাণ ও ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি মেয়ে বেশি মেয়ের মহামারির পর স্কুলে না ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী এক দশকে আরও এক কোটি মেয়ে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউএনএফপিএ-এর তথ্যমতে, আরও ২০ লাখ নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতির শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, লকডাউনে বাড়িতে আরও বেশি সময় কাটাতে বাধ্য হওয়ায় মেয়েদের গৃহস্থালির কাজ বেশি করতে হচ্ছে। অনেকেই নির্যাতনকারীর সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে বাধ্য হচ্ছে, যার ফলে তারা নিজেদের সুরক্ষায় সহায়ক পরিষেবা এবং সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে যৌন সহিংসতা সহ লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা।

তিনি বলেন, বিশ্ব মেয়েদের একটি প্রজন্মকে তাদের বাকি জীবনের জন্য এই মহামারির পরিণাম ভোগ করতে দিতে পারে না। আমরা যখন মহামারি পরবর্তী সময়ের জন্য কাজ করছি, তখন মেয়েদের অবশ্যই বৈশ্বিক, জাতীয় এবং স্থানীয় মহামারি মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার কেন্দ্রে রাখতে হবে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, মেয়েদের জন্য পুনরায় শিক্ষা শুরুর সুযোগ দিতে স্কুলগুলো খোলা রাখা এবং যারা পিছিয়ে পড়েছে, তাদের ঘাটতি পূরণে সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় সম্পদের পেছনে বিনিয়োগ করা। এর মানে হলো মেয়েদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারসহ তাদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় পুনরায় বিনিয়োগ করা এবং মানসম্মত ঋতুকালীন স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সেবাগুলো প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য সুযোগ বাড়ানো। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কোভিডের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াকে নারীকেন্দ্রিক রাখার আহ্বান জানান ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]