Print

Bhorer Kagoj

শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

রোগ হওয়া আগে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করার তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান। তিনি বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি হয়। অসংক্রামক রোগ যেহেতু সংক্রামক রোগের মত চমক সৃষ্টি করতে পারে না তাই রোগীরা অবহেলিত থেকেই যায়। এখন থেকে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরকারেরও চেষ্টা করা উচিত।

আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের সমাপনী দিনের প্রথম পর্বে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সোনারগাও হোটেলে ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলন আজ শেষ হবে। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ- এগুলোকে নীরব ঘাতক আখ্যা দিয়ে সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এসব রোগ হওয়া আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি। বিশেষ করে হাওড় অঞ্চলে আমাশয় রোগ বেশি। মন্ত্রী নিজেও আমাশয় রোগে ভোগার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যখন হাওরে ছিলাম তখন দেখেছি আশ্বিন কার্তিক মাস আসলেই একটি মানুষও বাকি থাকতো না আমাশয়হীন।

দেশে জরুরি কোনো আঘাত আসলে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের এখনো কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে জরুরী কোনো আঘাত আসলে তা রুখতে কোপ ক্যাপাসিটি অনেক ভালো। আমাদের সেই সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজ করছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে কমিউনিট ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ৩২ ধরনের ওষুধ ফ্রি দেওয়া হয়। এটা বড় ব্যাপার।

গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তবে এই মুহর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওমিক্রণ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ওমিক্রণ নিয়ন্ত্রণে আসলে এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। দেশের জন্য তার দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রবাসীদের রেমিটেন্স থেকে সরকার যে বাড়তি টাকা পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই টাকা জনগণের কল্যাণে খরচ করতে হবে। রেমিটেন্সের মাধ্যমে যে টাকা আসছে এটা প্রবাসীদের পরিশ্রমের ফল। মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ অমেরিকায় কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। তাদের পরিশ্রমের ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। যেকারণে তাদের পরিবারের কল্যাণে এই টাকা ব্যয় করতে হবে।

সম্মেলনের এই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফায়েজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসদুল আলম, গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভাসিটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা.জেমস মিলার, ওজিবিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]