Print

Bhorer Kagoj

বিএনপির শিখিয়ে দেয়া কথা বলেছেন খালেদার চিকিৎসকরা

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ৬:৫১ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১, ৬:৫১ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকরা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলো বিএনপির শেখানো কথা। সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ক অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তাদের বক্তব্যে এতটুকু স্পষ্ট যে চিকিৎসক হিসেবে বক্তব্য দেয়ার চেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপির শেখানো বক্তব্যই দিয়েছেন। আর বিবৃতিদাতাদের বেশিরভাগই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

বিএনপি এখন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি তাদের নেতাদের কাছ থেকে চিকিৎসকদের মধ্যেও নিয়ে গেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, টেলিভিশনে দেখেছি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। ড্যাবের দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. ফখরুজ্জামানের সই করা আরেকটি বিবৃতি ছিল। আরেকজন চিকিৎসক আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এরা সবাই বিএনপির দলীয় ও ঘরোয়া রাজনীতির সাথে যুক্ত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। আর চিকিৎসা আছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র, ভারতে তো নেইই, সিঙ্গাপুর, ব্যাংককেও নেই। বাস্তবতা হলো, এখন ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক মানুষ এখন সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে চিকিৎসা করতে আসে। ডাক্তার সাহেব কিভাবে বললেন অন্য কোথাও নাই শুধুমাত্র তারেক রহমান যেখানে আছে সেই যুক্তরাজ্যেই চিকিৎসা আছে আর আছে পাশের দেশ জার্মানি আর যুক্তরাষ্ট্রে।

সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘দেশে বিশৃঙ্খলা না চাইলে বেগম জিয়াকে বিদেশে যেতে হবে’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব যদি এ কথা বলে থাকেন, তাহলে তারা বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছেন। আমি মনে করি, এ জন্য তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে। কারণ তিনি যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছেন নিজেই সেটি স্বীকার করেছেন এবং এটি ফৌজদারি অপরাধ। তারা অতীতে অনেক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, দেশের মানুষ তাদেরকে আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না।

ক্যাবল অপারেটরদের সাথে বৈঠক শেষে এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ক্যাবল অপারেটরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শহরসহ অন্যান্য শহরগুলোতেও তারা ডিজিটাল হেড স্থাপন করেছেন। কিন্তু এর পাশাপশি প্রত্যেক গ্রাহকের কাছে সেট টপ বক্স থাকলে কেবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটালাইজ হবে। গ্রাহক ভালোভাবে টিভি দেখতে পারবে একই সঙ্গে সরকার প্রতি বছর ১৫০০ থেকে ১৮০০ কোটি টাকা যে রাজস্ব হারাচ্ছে, সেটিও আদায় হবে আবার এখন ক্যাবল অপারেটরা ফিড অপারেটরের কাছ থেকে ঠিকমতো পাওনা পায় না, সেটিরও অবসান হবে।

মন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয় ৩০ নভেম্বর যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কাজ চলছে। আশা করছি স্থগিতাদেশ উঠে গেলে পুনরায় সময় নির্ধারিত হবে। তবে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হওয়া প্রয়োজন, এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে এবং আমরা এতে বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত গ্রাহক সবাই যাতে প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী এককালীন বা কিস্তিতে সেট টপ বক্স কিনতে পারে এবং একই সঙ্গে দেশে এটি উৎপাদন করা যায় কি না সেটিও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করেন ড. হাছান।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক মো. সোহরাব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, কোয়াব প্রশাসক, আকাশ ডিটিএইচ, ন্যাশন ওয়াইড মিডিয়া, জাদু ভিশন, ওয়ান এলায়েন্স, কোয়াব ঐক্য পরিষদ ও সমন্বয় পরিষদ এবং মুক্তধারা ফাউন্ডেশন প্রতিনিধিবৃন্দ বৈঠকে অংশ নেন।

এ দিন বিকেলে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে তাদের কার্যালয়ে ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]