Print

Bhorer Kagoj

ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি শকুরের মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত

প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ৩:৪২ অপরাহ্ণ | আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১, ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগরে ১৭ বছর আগে সাবিনা (১৩) নামে এক মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় শুকুর আলী নামের আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

ওই আসামির আইনজীবীর করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

হেলালউদ্দিন বলেন, গত ১৮ আগস্ট শুকুর আলীকে হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। এখনো ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়নি। অনুলিপি প্রকাশ হলে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) সুযোগ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে রায়টি কার্যকরে তোড়জোড় শুরু হয়। তাই রায়টি স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

মামলারসূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ঝনুর মেয়ে সাবিনা (১৩) প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিদের মাধ্যমে অপহৃত হয়। এরপর লালনগর ধরমগাড়ী মাঠের একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে তাকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় পরের দিন সাবিনার বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন।

আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে শুকুর আলী, আব্দুল গনির ছেলে কামু ওরফে কামরুল, পিজাব উদ্দিনের ছেলে নুরুদ্দিন সেন্টু, আবু তালেবের ছেলে আজানুর রহমান ও সিরাজুল প্রামাণিকের ছেলে মামুন হোসেন।

এরপর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন।

পরে গত ১৮ আগস্টের রায়ে আপিল বিভাগ শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এ ছাড়া তিন আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]