Print

Bhorer Kagoj

ইংলিশ স্পিনে কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১১:১৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১, ১১:১৭ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৪ ওভার ২ বল খেলে মাত্র ৫৫ রানে আউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে মাত্র ৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষে পৌছে যায় ইংলিশরা। সর্বশেষ ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল দুই দল। সেবার ইংলিশদের হারিয়ে শিরোপা জেতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই হারের বদলা ইংল্যান্ড নিল এবারের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই।

ম্যাচটিতে ইংলিশ স্পিনারদের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়েছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। স্পিনার আদিল রশিদ মাত্র ২ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সবচেয়ে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। অপর স্পিনার মঈন আলী ১৭ রানে তুলে নেন দুটি উইকেট। সিমন্স ও হেটমায়ারকে আউট করায় ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৫ রান করে লজ্জার সব রেকর্ডের মালিক হয়েছে ডিফেন্ডিং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৫৫ রানে গুটিয়ে গিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়েছে ক্যারিবিয়ানরা। প্রথমত বিশ্বকাপে এটি তাদের সর্বনিম্ন রানের লজ্জাজনক রেকর্ড। এর আগে বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন ১০১ রান করেছিল তারা। সেটি ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওভালের মাঠে হয়েছিল। তাছাড়া নিজেদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ২০২০ সালে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই মাত্র ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এখন এই ইংল্যান্ডই তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জা দিল। তাছাড়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন রান। ৩৯ ও ৪৪ রান করে প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ডটির মালিক হলো নেদারল্যান্ডস। এর আগে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের। তারা ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে মাত্র ৬০ রানেই আউট হয়ে যায়।

ম্যাচটিতে শুরুতেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলীয় ৮ রানের মাথায় এভিন লুইস মাত্র ৬ রান করে ক্রিস উকসের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে আসেন ক্রিস গেইল। তবে অপর ওপেনার লেন্ডি সিমন্সও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তিনি মঈন আলীর বলে ক্যাচ আউট হন। এরপর দায়িত্ব এসে পরে ক্রিস গেইলের উপর। তিনি দেশেশুনে খেলার নীতি নিয়ে খেলতে থাকেন। তাকে পাশে থেকে সঙ্গ দেয়ার চেস্টা করেন শিমরন হেটমায়ার। কিন্তু বেশিক্ষণ ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেননি তিনি। দলীয় ২৭ রানের সময় ৯ রান করে মঈন আলীর বলেই ক্যাচ আউট হন তিনি। হেটমায়ারের মতো ধৈর্য্য হারান ক্রিস গেইলও। তিনি দলীয় ৩১ রানের সময় ১৩ রান করে তাইমাল মিলসের বলে ক্যাচ আউট হন বাজে একটি শট খেলে। এরপর দলীয় ৩৭ রানের সময় ডোয়াইন ব্রাভো ক্রিস জর্ডানের বলে ক্যাচ আউট হন। তিনি আউট হওয়ার পর নিকোলাস পুরান ১, কাইরন পোলার্ড ৬ , আন্দ্রে রাসেল শূণ্য, ওবে ম্যাককয় শূণ্য ও রবি রামপাল ৩ রান করে আউট হন। ১৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন আকিল হোসেন।

তাছাড়া ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের ফিল্ডারদের পারফরমেন্স ছিল চোখে পরার মতো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশ ব্যাটসম্যানের মধ্যে সাতজনই হন ক্যাচ আউট। আর যতবারই ক্যাচ উঠেছে তার একটিও তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হননি ইংলিশ ফিল্ডাররা। আদিল রশিদের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটি করে উইকেট শিকার করেন মঈন আলী ও তাইমাল মিলস। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]