এক নিবন্ধে ইসলাম ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসি ইউনিটের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মামলা সংশ্লিষ্ট শাহজাহাপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- উইমেন চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর লিপা ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিষ্মিতা সিমন্তি।
জানা জানায়, গত ৩ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজনকে অব্যাহতি ও তসলিমাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। উইমেন চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা লীনা হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ও নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে অভিযুক্ত তিন আসামি পলাতক থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতেও আবেদন করা হয়।
এক নিবন্ধে ইসলাম ধর্মের প্রতি অবমাননাকর তথ্য দেওয়ায় ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মাসিক পত্রিকা আল বাইয়েনাত সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম বাদী হয়ে তসলিমা নাসরিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহজাহানপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন। পরে সে বছর ২৬ এপ্রিল মামলাটি নথিভুক্ত করে থানাটি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুপ্রীতি ধর, সুচিষ্মিতা সিমন্তি ও লীনা হকরা প্রায়ই পবিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক লেখা প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেলে তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনও ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে ‘পয়গম্বরও আরব দেশে ইহুদি পুরুষদের মেরে ওদের মেয়েদের নিজের সঙ্গীদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন’ বক্তব্যে মামলার বাদীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
© ভোরের কাগজ 2002 – 2020
প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত
কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]