সাড়ে পাঁচ বছর আগে খুলনায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিব হাওলাদারকে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি ওমর শরিফ ও মিন্টু খানকে হাই কোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন সাজার রায় সর্বোচ্চ আদালত বহাল রেখেছেন। দণ্ডিতদের আপিল খারিজ করে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুশফিকুদ্দিন বখতিয়ার।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শাস্তি বহাল রেখেছেন। এ ধরনের জঘন্যতম নৃশংস, ঘৃণিত হত্যাকাণ্ড যারা ঘটাচ্ছে, তাদের জন্যে এটি (আপিল বিভাগের আদেশ) একটি বার্তা হবে যে, এ ধরনের শিশু হত্যার শাস্তি অনিবার্য।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনা নগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে এক মোটর ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে ১২ বছর বয়সী রাকিবকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সারা দেশে। পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই ওয়ার্কশপের মালিক ওমর শরিফ ও তার সহযোগী মিন্টু খান এবং শরিফের মা বিউটি বেগমকে সেখানে আসামি করা হয়।
মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শরীফ ও মিন্টুর ফাঁসির রায় দেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত। অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগম খালাস পান। পরে হাই কোর্ট তাদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়। পাশাপাশি দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ে বলা হয়, জরিমানার অর্থ রাকিবের পরিবারকে দিতে হবে। তা না হলে দুই আসামিকে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন দুই আসামি। তাদের সেই আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে গেল।
© ভোরের কাগজ 2002 – 2020
প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত
কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]