সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মেট্রোরেলের কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখন আগারগাঁওয়ে কাজ হচ্ছে। পায়ারের সঙ্গে স্প্যান যুক্ত করার পর পদ্মাসেতুর সুপার স্ট্রাকচার যেমন দৃশ্যমান হয়েছে, আমরা আশা করছি, মেট্রোরেলও আগামী ছয় মাসের মধ্যে জনগণের মধ্যে দৃশ্যমান হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘গতবছর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সাতজন জাপানি পরামর্শকসহ ২২ জন নিহত হওয়ার পর মাঝখানে কাজ কিছুদিন থেমে থাকলেও এখন পুরোদমে (মেট্রোরেল) এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।’
উত্তরার দিয়াবাড়ীতে বুধবার (১১ অক্টোবর) মেট্রোরেল প্রকল্পের ‘লোড টেস্টিং’ কাজ দেখতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘জাপানি কনসালটেন্টদের মর্মান্তিক মৃত্যু (হলি আর্টিজানে) এ কাজ মাস ছয়েক পিছিয়ে দিয়েছে। মেট্রোরেল অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এই প্রকল্পটি আবার গতি পেয়েছে। জাইকার ফান্ডিংও বন্ধ হয়নি। যে কোম্পানিগুলোর কাজ করার কথা, তারা কাজ করছে। এখন ফুল সুইংয়ে কাজ চলছে।’
জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাইকা সহায়তা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে মিরপুর, ফার্মগেইট. শাহবাগ হয়ে মতিঝিলি শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৬ নম্বর এই রুটে থাকবে ১৬টি স্টেশন। প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
প্রথম পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজ শেষ করে ২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ‘এমআরটি লাইন-৬ হওয়ার পর এআরটি-১ এবং এমআরটি-৫ এর কাজ শুরু হবে। এ দুটি প্রকল্পের জন্যও জাপান সরকার বরাদ্দ করেছে। অর্থ বরাদ্দ একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাদের সঙ্গে আমাদের একটা ঋণচুক্তি হয়ে গেছে। প্রসেস ইজ আন্ডার ওয়ে।’
© ভোরের কাগজ 2002 – 2020
প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত
কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]