Print

Bhorer Kagoj

মহানায়ক উত্তম কুমার

ফ্লপ থেকে সুপারস্টার

প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৮, ২০১৯ , ৪:৩২ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুলাই ২৮, ২০১৯, ৪:৩২ অপরাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক

২৪ জুলাই, ১৯৮০। রুপালি পর্দার মায়া হেলায় কাটিয়ে পৃথিবী ছাড়েন উত্তম। এবার ছিল তার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহানায়কের জীবনের অন্দরের গল্প তুলে ধরা হলো মেলার পাঠকদের জন্য

সংসারে প্রবল অনটন। তাই প্রথম জীবনে পড়াশোনা শেষ না করেই সংসারের প্রয়োজনে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের কাজে যোগ দিতে হয়েছিল উত্তম কুমারকে। তখনই আহিরীটোলায় নিজেদের থিয়েটার গ্রুপ ‘সুহৃদ সমাজ’-এ নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন তিনি।
থিয়েটার করতে করতেই স্টুডিওপাড়ায় ডাক এল। কিন্তু শিকে ছিঁড়ল না একেবারেই। বরং তকমা জুটল ‘ফ্লপ মাস্টার’। এক সময় স্টুডিওপাড়ায় ওই নামেই তাকে চিনত সবাই। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একের পর এক সিনেমা করলেও সব কটাই ফ্লপ হয়। ১৯৫৩-তে কামব্যাক ‘সাড়ে চুয়াত্তর’-এ।
যুগলবন্দি ঘরানার অন্যতম উদাহরণ। সত্যজিৎ ও উত্তম। উত্তম কুমারকে ভেবেই ‘নায়ক’ ছবি করার কথা ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। ‘নায়ক’ উত্তমের ক্যারিয়ারের ১১০তম ছবি। হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর ‘নায়ক’ দেখার পর রীতিমতো উচ্ছ¡সিত। উত্তমের সঙ্গে দেখা করতেও চেয়েছিলেন তিনি। এলিজাবেথ আসলে মুগ্ধ হয়েছিলেন উত্তম কুমারের অভিনয়ে। ১৯৭৬ সাল। তখন জরুরি অবস্থা চলছে। মহালয়ার ভোরে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’কে সরিয়ে ‘দেবী দুর্গতিহারিণীম’ নাম দিয়ে এক বিকল্প অনুষ্ঠান হয়। রেডিওতে সেই অনুষ্ঠান করেছিলেন উত্তম কুমার। তবে বাণী কুমারের জায়গায় তাকে মেনে নেয়নি জনতা। ওই একবারই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র প্রচার বন্ধ হয়েছিল। উত্তমও সরে দাঁড়ালেন বিনয়ের সঙ্গে। অভিনয় ছাড়াও পরবর্তী সময়ে প্রযোজক, পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন উত্তম কুমার। ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ ও ‘চিড়িয়াখানা’য় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন উত্তম কুমার। একটি সুবোধ ঘোষ, অন্যটি তরুণ রায়ের লেখা গল্প অবলম্বনে।
স্ত্রী গৌরী দেবীর মুখের আদলে বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমার মুখ তৈরি করিয়েছিলেন উত্তম। প্রথম বছর বাড়িতে এসে কুমোর সেই মূর্তি তৈরি করেন। সেই থেকে ওই রীতিই চালু। এই পূজা উত্তমের খুব পছন্দের ছিল।
পেশাগত রেষারেষির খবর তেমন না মিললেও, বাংলা ছবির দুই নক্ষত্র ছিলেন একে অন্যের গুণমুগ্ধ। উত্তম আজো নিশ্চিন্তে চলেন সৌমিত্রের সঙ্গে। প্রতিশোধ, দর্পচ‚র্ণ, পক্ষীরাজ, দেবদাস, যদি জানতেম, নকল সোনা, স্ত্রী, অপরিচিত, ঝিন্দের বন্দি। এই ন’টি ছবিতে এক সঙ্গে কাজ করেছেন এই দুই জ্যোতিষ্ক।

 

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2020

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: [email protected]