Print

Bhorer Kagoj

চলমান সামরিক অভিযানে

রাখাইনে আইন লঙ্ঘনের নতুন প্রমাণ: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯ , ৭:১৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯, ৭:২০ অপরাহ্ণ

অনলাইন প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যেই আইন লঙ্ঘনের নতুন প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (এআই)। রাখাইনে গত ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৫ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এআই সোমবার জানায়, জানুয়ারির শুরুর দিকে ‘আরাকান আর্মির’ চালানো সশস্ত্র হামলার জবাবে রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযানে মিয়ানমারের নিরাপাত্তা বাহিনীগুলো বিভিন্ন গ্রামে গোলাবর্ষণ এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের খাবার ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা পেতে দিচ্ছে না। ওই এলাকা থেকে বেসামরিক ব্যক্তিদের আটকে নিরাপাত্তা বাহিনীগুলো ভুয়া ও নিপীড়নমূলক আইনও ব্যবহার করছে।

অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স বিভাগের পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, ‘সর্বশেষ অভিযান আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকারের প্রতি কোনো সম্মান ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে বসতি থাকা গ্রামে গোলাবর্ষণ ও খাদ্য সরবরাহ আটকে রাখা অযৌক্তিক।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল খবর পেয়েছে, সেনাবাহিনীর যে ডিভিশনগুলো ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতায় জড়িত ছিল তাদেরই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পুনরায় রাখাইন রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।

তিরানা হাসান বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও সব প্রমাণে দেখা যাচ্ছে যে তারা নির্লজ্জভাবে আরও গুরুতর নির্যাতন চালাচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা এবং কাচিন ও শান রাজ্যে বিভিন্ন সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন ফৌজদারি তদন্ত ও মিয়ানমারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিচারের আহ্বান জানানোর পর নতুন করে আবার সহিংসতার এসব ঘটনা ঘটল।

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

© ভোরের কাগজ 2002 – 2017

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী । মুদ্রাকর: তারিক সুজাত

কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, তৃতীয় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, (নিউ সার্কুলার রোড, মালিবাগ), ঢাকা-১২১৭ ।
ফফোন: ৯৩৬০২৮৫, ৮৩৩১০৭৪ ফ্যাক্স: ৯৩৬২৭৩৪, সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন : ৮৩৩১৮০৬ । ইমেইল: info@bhorerkagoj.info