কাগজ প্রতিবেদক : বাজারে উঠেছে দেশি নতুন পেঁয়াজ। আমদানি হওয়া পেঁয়াজের তুলনায় দাম কম এবং স্বাদ ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি অনেক কমে গিয়েছে।
আমদানিকারকরা বলছেন, চলতি মাসজুড়ে এ অবস্থাই বিরাজ করবে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ইন্দোর জাতের নতুন ও পুরনো জাতের পেঁয়াজ অল্প পরিমাণে আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারের অধিকাংশ দোকানেই দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। প্রতি কেজি খুচরা পেঁয়াজ ২৩-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারের কোনো দোকানেই আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা মেলেনি।
হিলি বাজারের ক্রেতারা বলেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ২৩-২৫ টাকা করে আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা। যার কারণে তিনি দেশি পেঁয়াজই কিনছেন। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের স্বাদ ভালো, পরিমাণেও কম লাগে।
পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান- বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় গত তিন-চারদিন বাজারে কোনো ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজের চেয়ে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কম থাকায় ক্রেতারাও ভারতীয় পেঁয়াজ নিতে চাইছেন না। যার কারণে আমরাও ভারতীয় পেঁয়াজ দোকানে তুলছি না। দেশীয় নতুন পেঁয়াজ ওঠার কারণে মোকামে পর্যাপ্ত দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। আমরা মোকাম থেকে দেশীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি দরে কিনে আনছি। খরচ মিলিয়ে প্রকারভেদে ২৩-২৫ টাকা কেজি দরে তা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলেন, কিছুদিন আগে এলসি জটিলতার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গিয়েছিল। সেই জটিলতা কেটে যাওয়ার পর ব্যাংকগুলো পেঁয়াজের এলসি দিতে শুরু করেছে। আমদানিকারকরাও পেঁয়াজের এলসি খুলেছেন। কিন্তু বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে।
আমদানিতে পড়তা না থাকায় লোকশানের আশঙ্কায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি একেবারে কমে গেছে। কোনো দিন দু-এক ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হলেও কোনো দিন একেবারে শূন্য থাকছে আমদানির পরিমাণ।