কাগজ প্রতিবেদক : শিশু-কিশোরদের হাতে ভুলে ভরা ও অত্যন্ত নি¤œমানের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
গতকাল সোমবার ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে জানান, গত ১ জানুয়ারি বছরের প্রথম দিন ঘটা করে বই উৎসব করে শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ভুলে ভরা ও অত্যন্ত নি¤œমানের কাগজে ছাপানো পাঠ্যপুস্তক। সংবাদ মাধ্যমের নানা অনুসন্ধানে এসমস্ত ভুল উঠে আসছে। শুধু নবম-দশম শ্রেণির ৩টি বইয়ে ৩০টিরও বেশি অসংগতি খুঁজে পাওয়া গেছে।
ফ্রন্টের নেতারা বলেন, ভুলের বৃত্ত থেকে এনসিটিবি কোনোভাবেই বের হতে পারছে না। জবাবদিহিতা না থাকা, অবহেলা ও অনিয়মের কারণে বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে বই তুলে দেয়ার কর্মসূচি লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হয়েছে। বছরের পর বছর এভাবে ভুলে ভরা বই শিক্ষার্থীদের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তকের ফলে শিক্ষার গুণগত মান নেমে গেছে শূন্যের কোঠায়। অপরদিকে এবারের বই ছাপা হয়েছে খুবই নি¤œমানের কাগজে, ফলে বইগুলো খুব বেশিদিন টেকসই না হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকেরা। আর নি¤œমানের বই দিয়ে লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহও ধ্বংস করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সব বিষয়ের বই একসঙ্গে সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে এনসিটিবি। প্রতি শ্রেণিতে ৩ থেকে ৪টি বিষয়ের বই সরবরাহ করা গেছে। অন্যগুলো কবে নাগাদ সরবরাহ করা হবে তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য নেই এনসিটিবির।
ছাত্র ফ্রন্ট নেতারা বলেন, বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক নিয়ে এনসিটিবির সমালোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু এখনো সংশ্লিষ্ট কারোরই কোনো শাস্তি হয়নি, বরং বছর বছর এভাবেই চলছে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম। এই ঘটনা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত। ছাত্র নেতারা অবিলম্বে ভুলে ভরা নি¤œমানের পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাহার করে সব শ্রেণির সব বিষয়ে মানসম্মত নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের দাবি জানান। পাশাপাশি ভুলে ভরা নি¤œমানের বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত এনসিটিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তারা।