দীপক চক্রবর্তী, মাগুরা থেকে : মাগুরা শালিখা উপজেলা সদরের আড়পাড়া মাছ বাজারের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মাছ ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় মাগুরা-যশোর মহাসড়ক, আড়পাড়া-কালীগঞ্জ সড়ক ও আড়পাড়া-বুনাগাতী সড়কের উপর হাট বসে। এতে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, আড়পাড়ার মাছ বাজারের চান্দি ঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এভাবে দীর্ঘদিন পার হলেও নতুন করে চান্দি ঘর নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। এছাড়া সুষ্ঠু ড্রেনেজ না থাকায় পানি নিষ্কাশনে বিভ্রাট ঘটছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই মাছ বাজারে জমে যায় হাঁটু পানি। বাজারের ভেতরে কাদা, পানি আর ঘিঞ্জি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়।
অন্যদিকে, সপ্তাহে বুধ ও শনিবার দুইদিন আড়পাড়া বাজারে হাট বসে। এ বাজারের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় মাগুরা-যশোর মহাসড়ক, আড়পাড়া-কালীগঞ্জ সড়ক ও আড়পাড়া-বুনাগাতী সড়কের উপর হাট বসে। সবজি থেকে শুরু করে ধান, পাট, সরিষাসহ কৃষকের উৎপাদিত পণ্য কেনাবেচা হয় এ সকল সড়কের উপর। মাগুরা-যশোর মহাসড়ক ব্যস্ততম এবং ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দোকানিরা তাদের পসরা সাজিয়ে এ মহাসড়কের উপরই বসে। ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
আড়পাড়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মুকুল রায়, অবতার মণ্ডলসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত জাতীয় নির্বাচনের পর এখানে উন্নতমানের চান্দি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার কথা ছিলো জনপ্রতিনিধিদের। যেখানে থাকবে বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধা। অথচ এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেছে। নতুন করে নির্বাচন এসে গেলেও কেউ খোঁজ নিচ্ছে না।
তারা বলেন, বাজারের মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা জমে যায়। এছাড়া পানি বের হওয়ার জায়গা না থাকায় মাছের গায়ে ছিটানো পানিতেই অধিকাংশ সময় কাদা হয়। এর ফলে অনেকেই এখানে বাজার করতে আসতে চান না। এতে আমরাও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
ওই বাজারের নিয়মিত ক্রেতা স্কুল শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ বাজারটির প্রতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো খেয়াল নেই। ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে নাকে কাপড় দিতে হয়। তাই এখানে বাজার করতে আসি না আমারা।
শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা বলেন, আমরা বাজার উন্নয়নে সচেষ্ট। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই এর সুষ্ঠু সমাধান হবে। আর সড়কে হাট বসার বিষয়টিরও সমাধান করার চেষ্টা চলছে।