কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্যানারি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি করলে বিদেশে ওয়েট ব্লæ চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যানারি ব্যবসায়ীরা যদি ইচ্ছা করে দাম কমানোর জন্য গেম খেলে, তাহলে আমরা চামড়া বিদেশে রপ্তানির অনুমতি দেব। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা চাই না যে, সেটা হোক। মন্ত্রী আরো বলেন, আগেও এটি হয়েছে। ওয়েট ব্লæ চামড়া আমরা রপ্তানি করি। যখনই আমরা রপ্তানির অনুমতি দেই, তখনই দেখা যায়, দামের কিছুটা উন্নতি হয়। এ বছরও আমাদের ঘোষণাটি হলো- কারসাজির মাধ্যমে দাম কম দেয়া বা চামড়া না নেয়ার চেষ্টা করলে আমরা ওয়েট ব্লæ চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেব।
গতকাল রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে এক বৈঠকে এবারের কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়। সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এবার ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪ টাকা বেড়েছে। এবার রাজধানীতে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া বিক্রি হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। আর ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুটের দর ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, গত বছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল। এছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতোই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, তাপমাত্রার কারণে এবার চামড়া সংরক্ষণের সময় কমে আসবে। সেজন্য দ্রুত লবণ দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেটি সহজ করতে এবার গরুর হাটে লবণ কেনা যাবে। চামড়ার দাম মনিটরিং প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, একটা মনিটরিং কমিটি আছে। জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এ কমিটি। সেই মনিটরিং টিম দেখভাল করবে, যাতে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যায়। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চামড়া নিয়ে রাখলে ১০ শতাংশ চামড়াও রক্ষা করা যাবে না। কারণ আমাদের তেমন কোনো সিস্টেম ডেভলপ করেনি।
লবণের দাম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, লবণের দামটা যেভাবে বাড়ানো হয়েছে, তা যৌক্তিক নয়। শিল্প মন্ত্রণালয় যেহেতু এটি নিয়ন্ত্রণ করে উৎপাদন কতটুকু এবং দাম কত হওয়া উচিত, সেগুলো তারা ভালো বলতে পারবেন। সঠিক দামটা আজ বা কালকের মধ্যে জানতে পারলে আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা করতাম সেই দামের মধ্যে রাখার। আমরা চেষ্টা করবো দাম যা আছে, কুরবানির সময় যেন তার চেয়ে না বাড়ানো হয়।