কাগজ প্রতিবেদক : ‘কথা রাখো কাছে থাকো যাইও নাকো দূরে’,‘আমার বন্ধু দয়াময় তোমারে দেখিবার মনে লয়’, ‘আমার বন্ধুয়া বিহনে গো, সহেনা পরাণে গো, একেলা ঘরে রইতে পারি না’, ‘একা ঘরে ঘুম আসে না শুইলে বিছানাতে রে’, ‘নির্জন যমুনার কূলে বসিয়া কদম্ব তলে, বাজায় বাঁশি বন্ধু শ্যামরায়’, ‘মানুষ ধর মানুষ ভজ শোন বলিরে পাগল মন’, ‘রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলা রে, আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কই রইলারে’, ‘আমারে আসিবার কথা কইয়া মান করে রাই রইয়াছো ঘুমাইয়া’, ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে করলি রে দিওয়ানা’, ‘সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে’, ‘তোমার লাগিয়ারে সদাই প্রাণ আমার কান্দে বন্ধুরে প্রাণবন্ধু কালিয়ারে’, ‘সব সখিরে পার করিতে নেবো আনা আনা’, ‘বাওকুমটা বাতাস যেমন ঘুরিয়া ঘুরিয়া’, ‘শুয়া উড়িলো উড়িলো জীবের জীবন শুয়া উড়িলো রে’, ‘নেশা লাগিলো রে বাঁকা দুই নয়নে’, ‘উত্তন পেগে মেঘে মেঘে মেঘলু দেবা তলে’, ‘মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে’, ‘তোমরা দেখগো আসিয়া কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া’ শীর্ষক ভাওয়াইয়া, মাইজভাণ্ডারি, ঘাটু গান, লালন, রাধারমন, উকিল মুন্সী, হাসনের অন্তর ছুঁয়ে যাওয়া ৪৬টি বৈচিত্র্যময় লোকসংগীতের সুরে কোরাস কণ্ঠে মুখর করে তুলেছিলেন মীম, মানিক, সোহান, পূজা, পলাশ, আনিস, রূপসা, ইভা, হিমাদ্রি, সেতু, আনিস, প্রতীক, রূপসা, মানিক, নিতু, সেতু, পলাশ, হীরক, রূপসা।
শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈচিত্র্যময় গানের এমন পরিবেশনা ছিলো।
শিল্পকলা একাডেমি জানায়, এ দেশের লোকসংগীত বৈচিত্র্যময়। আঞ্চলিক ভাষা ও জীবনাচারকে কেন্দ্র করে এ দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই ভিন্ন ভিন্ন ধারার লোকসংগীত বিকাশ লাভ করেছে। তর্জা, পাচালি, খেউর, আখাড়াই, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, জারি, সারি, মুর্শিদি, ভাষান, যাত্রা, লেটো, ঘাটু, কবি, পালা, বাউল, মরমী, গম্ভীরা, মারফতি, মাইজভাণ্ডারী, বিচ্ছেদি ইত্যাদি আমাদের লোকসংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় রীতি। এর বাইরেও স্থানীয় লোক কবিরা তাদের সাধনার অংশ হিসেবে অসংখ্য সংগীত রচনা করেছেন। সব মিলিয়ে এ দেশের লোকসংগীত বাঙালির কর্ম ও সাধনার মর্মমূলে স্থান করে নিয়েছে। এসব বরেণ্যে লোক কবিদের গানের ডালিতে সাজানো হয়েছে বিশ্ব সংগীত দিবসের আয়োজন।