কাগজ ডেস্ক : রাশিয়ার ২৩ বছর বয়সি যুবক ভøাদিমির পপোভ। মিশরের বিলাসবহুল হারগাদা অবকাশযাপন কেন্দ্রে গিয়েছিলেন পর্যটক হিসেবে। একপর্যায়ে তিনি লোহিত সাগরে সাঁতার কাটতে নেমে পড়েন। কিন্তু কে জানত সেই সাঁতারই হবে তার জীবনের শেষ সময়। তাকে গিলে খাবে ১০ ফুট লম্বা মানুষখেকো শার্ক। হলোও তাই। একটি শার্ক তাকে ধরে আস্ত গিলে খেয়ে ফেলল। তখন যারা এ দৃশ্য দেখেছেন, তাদের বুকে কম্পন ধরে যায়। হাত-পা কাঁপতে থাকে তাদের। কারণ, তাদের চোখের সামনে শার্কটি জীবন্ত গিলে ফেলেছে পপোভকে।
সমুদ্রসৈকত থেকে যারা এ দৃশ্য দেখেছেন এবং ভিডিও ধারণ করেছেন, তারা শুধু শুনতে পেয়েছেন পপোভের আর্তনাদ- ‘বাবা, আমাকে বাঁচাও’। এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
এক প্রত্যক্ষদর্শী টেলিগ্রাম চ্যানেল বাজাকে বলেছেন, ভয়াবহ ছিল সে দৃশ্য। আমি থর থর করে কাঁপছিলাম। আমার চোখের সামনে ওই যুবককে গিলে ফেলল শার্ক। আমার গলা-বুক শুকিয়ে গেল। পিপাসা লেগে গেল। আমার সত্যি খুব খারাপ লাগছিল। পপোভের পিতা ইউরি পপোভ। তিনি বলেছেন, আমার ছেলেকে একটি শার্ক আক্রমণ করেছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। তাকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না আশপাশে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সাহায্য করা যায়, যখন মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে মাংসখেকোটা তাকে টেনেহিঁচড়ে পানির নিচে নিয়ে যায়?
ওই সমুদ্রসৈকতকে সবাই জানেন নিরাপদ হিসেবে। সেখানে এমন ঘটনা ঘটবে কেউ ভাবতেও পারেননি। এর এখানে ওখানে জাহাজ, প্রমোদতরি চলছে। এর আগে ওই এলাকায় এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। শার্ক এভাবে মানুষ ধরে খায় তো ভয়ঙ্কর সব সৈকতে। আসলে যা ঘটেছে, তা দুর্ভাগ্য। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গেছে সব। উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমার মনে হয়েছিল এটা একটা শার্কের কাজ। দেখামাত্রই আমি লাফিয়ে উঠলাম এবং চিৎকার করতে থাকি- ‘শার্ক, শার্ক বলে’। সবাইকে নিরাপদ থাকতে বলি। কিন্তু তখনো কেউ আমার কথা বুঝতে পারেননি।