কাগজ প্রতিবেদক, জয়পুরহাট : পাঁচবিবির নাওডুবা গ্রামে প্রেমঘটিত কারণে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৬ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি উপজেলার নাওডুবা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হুমায়ুন (৫২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুর রাজ্জাকের পাঁচবিবির নাওডুবা গ্রামের মুর্শিদ উদ্দিনের মেয়ে নাসিমা বেগমের সঙ্গে প্রেমের স¤পর্ক ছিল।
এর জের ধরে ২০০০ সালের ১৪ জুন রাতে নাছির উদ্দিনের বাড়িতে সালিশের নামে ডেকে নেয়া হয় তাকে। এরপর নাছির উদ্দিন তার দলবল নিয়ে আব্দুর রাজ্জাকের হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। মারপিটে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে তিনি খাওয়ার পানি চাইলে পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় তাকে। পানি পান করার পর আব্দুর রাজ্জাক ছটফট করতে থাকেন।
পরে নাছির উদ্দিন ও তার লোকজন ভোরে আবদুর রাজ্জাককে তার বাড়ির সামনে রেখে যান। তাকে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শেষে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১৫ জুন কালাই থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়। পরে ২০০০ সালের ২৮ জুন নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় হত্যামামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ৮ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আসামি হুমায়ুনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, বাদীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।