কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মহিপুরে এলজিইডির অব্যবহৃত লোহার ব্রিজ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে ধূলাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ধূলাসা ইউপি সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কবিরুল ইসলাম খলিফা। এ সময় ধূলাসা ইউপির ১০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কবিরুল ইসলাম খলিফা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন ভবন থেকে সামনের পাকা রাস্তা পর্যন্ত এলজিইডির নির্মিত অব্যবহৃত লোহার ব্রিজ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। এছাড়া এখন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন (৬৫ দিন) ১ হাজার ৭৪৮ জন জেলের নামে বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল বিতরণে মাথাপিছু ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন চেয়ারম্যান। ইতোমধ্যে ৮নং ওয়ার্ড থেকে ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন। অন্য ওয়ার্ডে টাকা না দেয়ায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেননি তিনি। ইউপি সদস্য কবিরুল ইসলাম খলিফা আরো বলেন, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা নাজায়েজ বলে মন্তব্য করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান এবং কালোব্যাজ ধারণ থেকে বিরত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম। সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ধূলাসা ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, ‘মেম্বারদের চাল চুরি করতে না দেয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।’