নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি

আগের সংবাদ

অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার : অভিযানে বন্ধ অনেক প্রতিষ্ঠান

পরের সংবাদ

এমসিসিআইয়ের পর্যালোচনা : বিদেশি মুদ্রা ব্যয়ে সতর্ক হতে হবে

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় বিদেশি মুদ্রা ব্যয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা দরকার। সম্প্রতি চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এ মূল্যায়ন জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
প্রতিবেদনে এমসিসিআই বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কোভিড-১৯ এর প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ গতিশীল। যার হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে শ্লথ হয়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ওই অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধারের আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এ হার উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ।
প্রবৃদ্ধির বিষয়টির পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেছে এমসিসিআই। সেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় বেশি আমদানিপ্রবণতা ও বিদেশি মুদ্রা ব্যয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অপরিহার্য। অপ্রয়োজনীয় আমদানি এড়িয়ে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার বা রিজার্ভ সংরক্ষণ নিশ্চিতে এ ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ কার্যকর মনে করছে এমসিসিআই। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দামে উচ্চভর্তুকির দক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজনের পাশাপাশি ভর্তুকি ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করে আসন্ন মাসগুলোয় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে এমসিসিআই।
সংগঠনের পর্যালোচনায় অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে এমসিসিআই। রপ্তানি ও আমদানি অর্থনীতির এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। করোনা মহামারির মধ্যে দুই খাতই ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। সক্রিয় রপ্তানি সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সহজ করেছে। এ সময়ে পুরোপুরি সক্রিয় ছিল রপ্তানিমুখী পোশাক, চামড়া ও স্থানীয় বাজারের ইস্পাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহন খাত। রেমিট্যান্স বেড়েছে, যা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়