মানবতাবিরোধী অপরাধ : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খান রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

ঝুঁকি প্রবল, প্রস্তুতি কম > বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা > মৃত্যুকূপ হবে রাজধানী > দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা নিয়ে সংশয়

পরের সংবাদ

নৌকাবাইচ দেখতে গিয়ে লাশ হলো দুই স্কুলছাত্র

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : নৌকা বাইচ দেখে বাড়ি ফেরা হলো না মানিকগঞ্জের সিংগাইরের দুই স্কুল ছাত্রের। উপজেলার সীমান্তবর্তী কালীগঙ্গা নদীতে এ বাইচ দেখতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে সিফাত হোসেন (১৬) ও ওয়াসিম (১৭) নামে দুই স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। গত রবিবার ও গতকাল সোমবার তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই ছাত্রের লাশ গতকাল স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গত শনিবার সিংগাইর উপজেলার সীমান্তবর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাঁপ কালীগঙ্গা নদীতে এ নৌকা বাইচ চালাকালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে ।
নিহত- সিফাত হোসেন উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলাম ওরফে মান্নানের ছেলে ও ওয়াসিম লক্ষীপুর গ্রামের তোফাজ্জলের ছেলে। তারা দুজনই সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
জানা গেছে, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিংগাইর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাপ কালীগঙ্গা নদীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। নৌকাবাইচ দেখতে বিভিন্ন এলাকার হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে। ওই দিন সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সিফাত ও ওয়াসিমসহ ২০-২৫ জন বন্ধু মিলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে বাইচ দেখতে যায়। এ সময় নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির ট্রলারের ধাক্কায় নিহতদের নৌকাটি ডুবে যায়। এতে সিফাতসহ ৭-৮ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের লোকজন ওই দিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাকিদের উদ্ধার করা করতে সক্ষম হলেও ওয়াসিম ও সিফাতের খোঁজ মেলেনি। পরদিন রবিবার বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করেন। সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে নিহত সিফাতের মামা চারিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান রিপন হোসেন জানান, রবিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসহ আমরা সারা দিন নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সিফাতের কোনো সন্ধান পায়নি। রাত ৮ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান শেষ করেন। গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের মোসলেমাবাদ এলাকার জিয়া নগর আবাসন ঘাটে সিফাতের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি। সকাল ১০ টায় শ্যামনগর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। নিহতদ্বয়ের পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়