মানবতাবিরোধী অপরাধ : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খান রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

ঝুঁকি প্রবল, প্রস্তুতি কম > বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা > মৃত্যুকূপ হবে রাজধানী > দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা নিয়ে সংশয়

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী : আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ‘মায়ের কান্না’র আর্তনাদ কেন মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের কানে পৌঁছায় না? জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, ১৯৭৭, ৭৮, ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার নিরপরাধ সেনা সদস্যদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র আর্তনাদ, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্বজনদের কান্না তাদের কানে কেন পৌঁছায় না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল সোমবার ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও স্বজনহারা পরিবারের সদস্যরা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশজুড়ে ‘মায়ের কান্না’ কেঁদে চলছে। আমার প্রশ্ন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের কর্ণকুহরে এই কান্না কেন পৌঁছায় না? আপনাদের কাছে দেখা করার দরখাস্ত দেয়া হয়েছিলো, আপনারা এখনো দেখা করেননি। অর্থাৎ মানবাধিকার এখন কিছু কিছু রাষ্ট্রের একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেসব দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি করে কিন্তু তাদেরকে ঠিক মতো ব্যবসা দেয় না, তাদেরকে দমিয়ে রাখতে মানবাধিকার এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। দেশ-বিদেশে মানবাধিকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না। আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়ে, ঘেরাও করে কেউ হত্যাকান্ডের শিকার হয় নাই। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নেন নাই। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশের মানুষকে সঙ্গবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং যারা মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তারা দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না।
খালেদা জিয়াকে বিএনপি রাজনীতির গিনিপিগ বানিয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কয়েকদিন থেকে বলছে খালেদা জিয়ার অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি যতবার অসুস্থ হয়েছেন, বিএনপি বলেছে উনাকে বিদেশ না নিলে উনি মারা যাবেন। আর ততোবারই উনি হাসপাতাল থেকে ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আসলে খালেদা জিয়াকে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে করে বিএনপি তাকে গিনিপিগ বানিয়েছে, রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি দেশে ফের সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করেছে। এভাবে উঠে, বসে, দৌড়ে, কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে, কদিন হাঁটা কর্মসূচি, কদিন বসা কর্মসূচি, কদিন দাঁড়ানো কর্মসূচি দিয়ে মানুষকে যে সম্পৃক্ত করা যায় নাই সেটি তারা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এবং বিশ্ববেনিয়ারা যাতে ফায়দা লুটতে পারে সেজন্য তারা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছে। কিন্তু আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়