রাজধানীর ওয়ারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

আগের সংবাদ

মুখে স্বস্তির ভাব, মনে উদ্বেগ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড়

পরের সংবাদ

রোডমার্চ কর্মসূচি : গৌরনদীতে বিএনপির গাড়িবহরে হামলা আহত ১০

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় রোডমার্চে যোগ দিতে যাওয়ার পথে যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকালে গৌরনদীতে এ ঘটনা ঘটে। এতে বরিশাল (উত্তর) জেলা যুবদল নেতা সেন্টু খান ও ভিপি বাদলসহ কমপক্ষে ১০ জন যুবদল নেতা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত জেলা যুবদল নেতা সেন্টু খান একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং ভিপি বাদল ও বিএনপি নেতা মহিম হাওলাদারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত যুবদল নেতাকর্মীরা জানান, বরিশাল (উত্তর) জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইয়েদুল আলম খান সেন্টুর নেতৃত্বে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় রোডমার্চে যোগ দিতে রওনা হওয়া একটি গাড়ি বহর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ের গৌরনদী বাসস্টান্ডে পৌঁছলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ি বহরের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাইনিজ কুড়াল, রামদা, দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে রোডমার্চে যোগদানের জন্য রওনা হওয়া যুবদল নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এ হামলায় যুবদল নেতা সাইয়েদুল আলম খান সেন্টু (সেন্টু খান), কেএম আনোয়ার হোসেন বাদল (ভিপি বাদল), বিএনপি নেতা মহিম হাওলাদার, যুবদলকর্মী আজিজুল সরদার, স্বপন হাওলাদার, কামাল বেপারী, সাঈদ ফকির, মনির খলিফা, মামুন হাওলাদার, মিঠু খলিফা আহত হয়।
যুবদল নেতা সেন্টু খান ও ভিপি বাদল অভিযোগ করেন, হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। তারা গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মহিম হাওলাদারকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার একটি পা ভেঙে ফেলেছে।
অপরদিকে এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা। গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ. এম. জয়নাল আবেদীন বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে যোগদানকারীদের বাঁধা দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের দলের ছিল না। হামলার কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। ওদের অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্ব কোনো ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আনিচুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভূইয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তারা ফোন কল রিসিভ করেননি। তবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহাবুব আলম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান দীপ বলেন, যুবলীগের কোনো নেতাকর্মীর এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। হয়তো বা যুবদলের অভ্যন্তরীণ কোনো দ্ব›েদ্বর কারণে তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়