প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : কারসাজি রোধে পুঁজিবাজারের সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতেই কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
গতকাল ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২ দিনব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে ডিএসইর নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান এসব কথা বলেন। কুয়াকাটার হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসকে ডা. মোগল জান রহমান মিঠু, ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের সব সময় করা উচিত। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইন কানুন, বিধি বিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা আরো বৃদ্ধি করা জরুরি। এমন যেন না হয় একটি অনুষ্ঠান করে তিন মাস আর হলো না। এ বিষয়গুলো নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে সাংবাদিকদের লেখনির দক্ষতা তত বাড়বে। সমস্যাগুলো আরো বেশি উপস্থাপিত হবে, যা আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজার একটি মূলধনী বাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো স্টেকহোল্ডার কাজ করছে, আমি মনে করি সবগুলো স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিএমজেএফ সদস্যদের মাধ্যমে যেসব তথ্য পুঁজিবাজার উপস্থাপিত হবে সেগুলো আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পরবর্তীতে কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।
সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায় তখন বাজার তার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোর প্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়নি, শ্রীলঙ্কা যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিকরা যদি এসব কারসাজি সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারি এবং লেখনির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে পুঁজিবাজারে রেগুলেটর, ডিএসইর সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যদি কোনো ঘাটতি থাকে সেটি দূর করা সম্ভব হবে।
এসকে মোগল জান রহমান মিঠু বলেন, সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের একটি আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। পাশাপাশি কুয়াকাটার সৌন্দর্য লেখনির মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন ও বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।