প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
ভৈরব প্রতিনিধি : স্থানীয় সরকারের খাল খনন প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গোছামারা খাল খনন কাজে দুষ্কৃতকারীদের বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসীরা। খনন কাজে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গোছামারা স্টিল ব্রিজের ওপর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে গোছামারাসহ পাশের গ্রামের লোকজন অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাবুল মিয়া, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খুরশিদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার হেলাল মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহ আলম, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলামিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গোছামারা সরকারি খাল খননের কাজটি পায় মুমিনুল হক সেলিম। ওই খাল খননের কাজটি এক সপ্তাহ আগে শুরু করার পর থেকে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়ের আলম দানিছ নিজে কাজের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে কাজটি না পাওয়ায় বিএনপি পন্থী কৃষকদের উস্কানি দিয়ে খনন কাজকে বাধাগ্রস্ত করছেন। এ খালটি খনন হলে কৃষিজমিতে সুবিধা যেমন বাড়বে তেমনি নৌ যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কম খরচে মালামাল পরিবহনে। কিছু লোক সরকারি খাস জমি দখল করে চাষাবাদ করছে। মূলত দখলকারীরাই কাজে বাধা দিচ্ছে। সরকারি খাল খনন কাজ যেন কেউ বাধা গ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য স্থানীয় প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স মুমিনুল হক এণ্ড হাসান কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোছামারা খাল খননের কাজটি পান। এক সপ্তাহ আগে ওই খালের খনন কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। এক্সকাভেটরের পরিবর্তে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় ফুঁসে উঠে স্থানীয় কৃষক ও বিভিন্ন গ্রামের লোকজন। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী লোকজন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও গ্রামবাসীর একাংশ ড্রেজারে মাটি কাটার পক্ষে রয়েছে এবং অপরপক্ষটি এক্সকাভেটরে মাটি কাটার পক্ষে থাকলেও ড্রেজারে মাটি কাটার বিপক্ষে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম দানিছ বলেন, আমি খাল কাটার পক্ষে আছি। সিডিউলে ড্রেজারে মাটি কাটার কোনো নিয়ম নেই। ড্রেজারে বালু উত্তোলন করলে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এজন্য এলাকার কৃষক ও গ্রামবাসী সরকারের উপর মহলে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বন্ধের জন্য নোটিশ করছে। নোটিশের পরও ড্রেজারে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।