গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

১৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ : মাইকে প্রচার শুনে চিকিৎসা নিতে যান রোগীরা

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যত্রতত্র গড়ে ওঠা ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাতে গোনা দুটি মাত্র প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে। বাকি ১৩টি চলছে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে দাপটের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে মানহীন এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়াও কয়েকটি ফার্মেসিতে অবৈধভাবে চলছে ল্যাবরেটরি টেস্ট ও আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা।
সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে কীভাবে এসব প্রতিষ্ঠান চলছে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সচেতন মহলে। অভিযোগ রয়েছে, জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে চলছে মানহীন এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরে ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছোয়া হাসপাতাল, পোল ঘাট বাজারে সেবা ডায়াগনস্টিকসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ১৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়ার মতো মানও নেই। আর এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ফার্মাসিস্ট ও ডিএমএফরা। নামের সামনে লিখে রেখেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সার্টিফিকেটবিহীন ভুয়া এ সব সাইনবোর্ড ধারী চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ পেলে নামে মাত্র অভিযান পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। যার ফলে দুয়েক দিন পরেই দোকান খুলে আবার পূর্বের ন্যায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে দেখা যায়। এ কারণে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সরজমিনে দেখা গেছে, সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ছোয়া ফার্মেসিতে চলছে আলট্রাসনোগ্রামের কার্যক্রম। সেখানকার প্রোপ্রাইটর গৌতম কুমার ডাক্তার না হয়ে নিজের নামের সামনে ডাক্তার লিখে দিচ্ছেন চিকিৎসা। গত কয়েক মাস পূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তার ৬ মাসের জেল হয়েছে। জামিন হওয়ার পরে আবারো দাপটের সঙ্গে চালাচ্ছেন একই কার্যক্রম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার অফিস ম্যানেজ করা আছে। তা না হলে উপজেলা সদরে আমি কীভাবে প্রতিষ্ঠান চালাই।’
কাজির হাওলা গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রোগীরাতো জানি না কে ডাক্তার, আর কে ডাক্তার না। মাইকে প্রচার শুনে চিকিৎসা নিতে যাই। টাকা পয়সা খরচ করে চিকিৎসা নেয়ার পরে শুনি যে তিনি ডাক্তার নন। এভাবে আমাদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান।’ কাউখালী গ্রামের মহিউদ্দিন বলেন, ‘মাইকে শুনেছি ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিদিন চিকিৎসা দেন এমবিবিএস ডাক্তাররা। তবে হাসপাতালে গিয়ে দেখি গোলাম সরোয়ার সৈকত নামে একজন ডিএমএফ চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাই আমি চিকিৎসা না নিয়ে চলে আসি। কিন্তু তার কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আমাকে অনেক বোঝানো হয়েছে।’
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান বলেন, ‘আমরা গত কয়েক মাস আগে অভিযান করেছি। নতুন করে যে সব প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে চলছে আপনাদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য থাকলে আমাদের দিন। আমরা ব্যবস্থা নেব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়