গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

বিএমএর কুচকাওয়াজে ভারতীয় সেনাপ্রধান : ২ দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় দিক থেকেই সঠিক পথে কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেন ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। তিনি মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৮৪তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রশিক্ষণ সমাপনী রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে এসব কথা বলেন। আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতেও উভয় দেশের সেনাসদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। এ সময় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি তাকে স্বাগত জানান।
শুরুতেই তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। তারপর পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের হাতে স্মারক তুলে দেন। এবার সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য সোর্ড অব অনার অর্জন করেন শেখ সাব্বির আহমেদ। এছাড়া তানভীর রহমান সেনাপ্রধান স্বর্ণপদক এবং বিদেশি ক্যাডেটদের মধ্যে তানজানিয়ার এমারটন জন কম্বো বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ট্রফি লাভ করেন। এবার ৮৪তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে দুজন বিদেশিসহ মোট ১৪৮ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। এর মধ্যে ২৩ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী অফিসার ক্যাডেটরা নিজেকে দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগের শপথ নেন। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, নির্বাচিত অতিথিরা এবং অফিসার কর্মকর্তাদের পিতা-মাতা ও নির্বাচিত অভিভাবকরা কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল পান্ডে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগোতে হবে, সেই বিষয়ে নবীন ক্যাডেটদের নানা পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, যুদ্ধের ধরন খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি এবং যুদ্ধাস্ত্রের নানা পরিবর্তন যুদ্ধেক্ষেত্রকে আরো জটিল করে তুলছে। তোমরা এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হতে প্রযুক্তিগত জ্ঞান, গভীর চিন্তা, মানসিক দৃঢ়তা এবং দ্রুত সাড়া দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
পরে ভারতীয় সেনাপ্রধান কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে। এ সময়ও বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের সামরিক সর্ম্পক চলমান আছে বলে জানান তিনি। জেনারেল পান্ডে বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পক আমাদের দুই জাতির সব ধরনের যোগাযোগকেই প্রতিফলিত করে। এটি সঠিক পথেই আছে এবং এটি অত্যন্ত ভালো অবস্থাতেই আছে। সামরিক যোগাযোগও এই দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের অংশ। এই প্রেক্ষাপটে আমি সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে চাই, আমরা তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, যৌথ অনুশীলন ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ।
অনুষ্ঠানে সামরিক বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক এবং কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার ক্যাডেটদের পিতামাতা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়