গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

বাজেটে কিছু না থাকার ‘ব্যথা’ সরকারকে জানাবে ডিএসই

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই না থাকার ‘ব্যথা’ সরকারকে জানাতে চান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু। এছাড়া ৬টি বিষয় আগামী বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
গতকাল ঢাকার পল্টনের এক হোটেলে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি জানান- পুঁজিবাজারে আমরা কিছুই পাইনি। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য পুঁজিবাজারকে সঙ্গে রাখতে হবে। ডিএসই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্তিক আহমেদ শাহ-এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক রুবাবা দৌলা, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার হয়তো এবার আমাদের পুঁজিবাজারে করারোপ করেননি। তবে আমাদের কিছু চাহিদা ছিল, সেটার বিষয়ে দৃষ্টি দেননি। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীও সম্প্রতি কথা বলেছেন। আমাদের পুঁজিবাজার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল উপকরণ। তাই আমাদের ৭ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। পুঁজিবাজার হবে ভবিষ্যত অর্থনীতির কারিগর জানিয়ে ডিএসই চেয়ারমান বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চাই। এখানে অন্যতম সমস্যা বিনিয়োগকারীদের ‘আস্থাহীনতা’ মন্তব্য করে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ছোট্ট হাত বাড়িয়ে দিলে ঘুরে দাঁড়াবে এ বাজার।
পুঁজিবাজারের বিষয়টি বাজেটে আনতে পারলে সরকারের বাজেট জনগণের বাজেটে পরিণত হবে। অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ৬টি দাবি লিখিত আকারে বাজেট আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে চিঠি দেয়ার কথা জানান তিনি।
বিদেশি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে সরকারে পক্ষ থেকে সহযোগিতা চেয়ে অন্যান্য দাবিগুলো তুলে ধরে হাসান হাফিজ বলেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান ১০ শতাংশ করতে হবে। বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অতালিকাভুক্ত কোম্পানির চেয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কম কর দেয়। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহার ব্যবধান ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিকম, ট্যোবাকো ইত্যাদি খাতের আওতার বাহিরে। ১০ শতাংশ করহার ব্যবধান হলে কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিনিয়োগকারীদের দেয়া লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার করে বন্ডের উপর কেটে রাখা অগ্রিম কর কে চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা করা, শেয়ার লেনদেন কর নামিয়ে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ করা, বর্তমানে এটি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে রয়েছে। এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর ব্যবধান ১০ শতাংশ করা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
বাংলাদেশে এসএমই মার্কেটের মূলধন হচেছ ১২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন অথচ মাত্র ১৬টি কোম্পা তালিকাভুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৯৭ শতাংশই এসএমই খাতের। এসএমই বোর্ড তালিকাভুক্ত বাড়াতে পারলে অর্থায়নে ব্যাংক নির্ভরতা যেমন কমবে, তেমনি খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ডিএসই চেয়ারম্যান।
পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিএসই হবে অত্যন্ত টেকনোলজি নির্ভর। ডিএসই হওয়া দরকার সম্পূর্ণ পেপার লেস। আমি অল্প কিছুদিন হলো দায়িত্ব পেয়েছি তাই সব কাজ শুরু করতে পারিনি। তবে খুব শিগগিরই আমরা কাজ শুরু করব। ডিএসইকে আমরা আইটি খাতে সমৃদ্ধ করবো। এটাকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দেব।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মানুষ পুঁজিবাজার বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকে পরিবেশের অপেক্ষায় আছে বাজারে ফিরে আসতে। বিশ্বে পুঁজিবাজারকে অর্থনীতির গতি বাড়ানোর ওপর কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ব্যাংক নির্ভরতায় পড়ে আছে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমানের যে অবস্থা সেটা বেশি দিন থাকবে না। এ সমস্যা পার হয়ে যাবে। পুঁজিবাজার হবে সরকারের অর্থ সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম। তাই আমাদের সবাইকে এক হয় কাজ করতে হবে। তবেই এই বাজারের সফলতা সম্ভব।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। এই পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হলো আমরা জাপানি বিনিয়োগ আনতে কাজ করছি। আপনারা আশাহত হবেন না। কাজগুলো অগ্রগতিতে দেরি হচ্ছে তবে অপেক্ষা করলে আমরা ভালো কিছু পেতে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা সুন্দর একটা পুঁজিবাজার পাব। এছাড়াও এ বাজারের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা অনেক। যা পেতে সাধারণ মানুষ মুখিয়ে আছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমানের যে অবস্থা সেটা বেশি দিন থাকবে না। এই সমস্যা পার হয়ে যাবে। পুঁজিবাজার হবে সরকারের অর্থ সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম। তাই আমাদের সবাইকে এক হয় কাজ করতে হবে। তবেই এই বাজারের সফলতা সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়