গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

বাউফল : রাস্তা নির্মাণে দেড় শতাধিক তাল ও খেজুর গাছ ধ্বংস

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশবান্ধব দেড় শতাধিক তাল ও খেজুর গাছ ভেকু মেশিন দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাউফল সদর ইউনিয়নের জৌতা গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জৌতা গ্রামের আনছার বিশ্বাসের বাড়ির সামনের পাকা সড়ক থেকে ইসমাইল ফকির বাড়ি পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ ফুট মাটির রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় ১৪ টন গম দেয়া হয়। যার সরকারি মূল্য ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। বিধি মোতাবেক শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতি কামরুজ্জামান লিটু মোল্লা ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গিয়ে রাস্তার দুই পাশের ছোট-বড় দেড় শতাধিক তাল ও খেজুর গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিন দেখা গেছে, স্থানীয় আনছার বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা থেকে ইসমাইল ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তাটিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। রাস্তার মাটি কাটতে গিয়ে রাস্তার দুই পাশের ৯২টি ছোট-বড় তাল ও ৫১টি খেজুর গাছ উপড়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। উপড়ে ফেলা অধিকাংশ খেজুর গাছই ফলন্ত ছিল। উপড়ে ফেলা ফলন্ত তাল গাছ থেকে কয়েকজন শিশু ও কিশোর তাল কেটে শাঁস খাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন নারী ও পুরুষ জানান, শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হলে গাছগুলো উপড়ে ফেলা লাগত না। ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটায় গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। গাছগুলো পরিবেশবান্ধব ছিল।

রোদে পথচারীরা ছায়া পেত।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান লিটু মোল্লা বলেন, কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। আর এ কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রাস্তার মধ্যে থাকা কিছু তাল ও খেজুর গাছ কাটা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব বিশ্বাস বলেন, আমার জানামতে সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুজ্জামান লিটু মোল্লা কাজটি করেছেন। রাস্তাটি স্থানীয় এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে নির্মাণ করা হয়েছে। তাকে রাস্তা করতে বলা হয়েছে, গাছ কাটতে বলা হয়নি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, তাল গাছ ও খেজুর গাছ কাটার কোনো বিধান নেই। একান্ত প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কাটতে হবে। আমার জানামতে এখানে গাছ কাটার কোনো অনুমোদন নেই।
বাউফল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজেদুর রহমান বলেন, আমি কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেইনি। আর আমি অনুমতি দিতেও পারি না। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পটুয়াখালী জেলার কালাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নে তাল গাছ কাটার কারণে উচ্চ আদালত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও উপজেলা প্রকৌশলীকে তলব করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়