গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

ধর্ষণ মামলা : মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার নারীর ছেলে আব্দুর রহমান ও সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। এ নিয়ে এই মামলায় পুলিশ, হোটেল কর্মচারী, প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আদালতের কাছে সাক্ষীরা বলেন, গত বছরের ৩ এপ্রিল জান্নাত আরা ঝর্ণাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নিয়ে আসেন মাওলানা মামুনুল হক। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর জান্নাত আরা ঝর্ণা তাদের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাকিব উদ্দিন জানান, এই মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার নির্যাতনের শিকার নারীর ছেলে ও এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক সাক্ষ্য দিয়েছে।
এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন। তখন ওই নারীকে নিজের বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা ওই রিসোর্ট ঘেরাও করেন। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকা অবস্থায় মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় নেতাকর্মীরা। পরে রাতভর সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত হেফাজত কর্মীরা। ওই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়।
ঘটনার প্রায় মাসখানেক পর ৩০ এপ্রিল মামুনুলের বিরুদ্ধে তারই দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ওই নারী ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন মাওলানা মামুনুল হক। তাদের আইনত বিয়ে হয়নি। এই মামলায় গত ৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। এর আগে ১৮ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়