গ্রিন ভয়েস : প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের দাবিতে সাইকেল র‌্যালি

আগের সংবাদ

বাজেটে কেউ খুশি নয় : সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বেড়েছে, পূরণ হয়নি ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ দাবি

পরের সংবাদ

আশ্রয়ণের ঘর দেয়ার প্রতিশ্রæতি : ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার তথা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ঘুষ নেয়া ও বাদীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অসহায় এই পরিবারের কাছ থেকে একটি ঘর দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে প্রায় গত দেড় বছর আগে ১০ হাজার টাকা নেন ওই ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী আদর্শ গ্রামের আহাদ আলীর কাছ থেকে ঘুস নেন একই গ্রামের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিজল হক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় গত দেড় বছর আগে প্রধানমন্ত্রী উপহার তথা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, চান মিয়া ও শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ১০ হাজার টাকা ঘুস নেন ও ইউপি সদস্য। অনেকে ঘর পাইলেও ভুক্তভোগী আহাদ আলীর পরিবার পাইনি সরকারের দেয়া আশ্রয়ণের ঘর। পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন সরকারি এই ঘর পেতে কোনো প্রকার টাকা লাগে না। ঘর না পেয়ে প্রতিশ্রæতির টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগী। টাকা ফেরতের বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন ওই ইউপি সদস্য। এদিকে টাকা দেই দিচ্ছি বলে নানা অজুহাত দেখিয়ে গত ২৫ মে আনুমানিক সন্ধ্যার দিকে বাদী আহাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে ইউপি সদস্যের পরিবারের সদস্যরা মারধার করে চলে আসেন। বিধায় কোনো উপায় না পেয়ে টাকা ফেরত ও মারধরের সুবিচার পাওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন আহাদ আলী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আহাদ আলী বলেন, সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে শুনি সরকারি এই ঘরের জন্য কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। পরে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকিধমকি দেন। আবার আমার বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিজল হক-এর কাছে ঘুস নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পাস কাটিয়ে যান এবং রাগান্বিত হয়ে বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাই। কিছু টাকা পেয়েছি আর কিছু টাকা পাবো তার কাছে।

এ ব্যাপারে রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিরণ মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জানি, তবে খোঁজখবর নিয়ে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজিবপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সারোয়ার রাব্বী বলেন, অভিযোগপত্র হাতে পেলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়