গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

১১ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি বাজুসের

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে গেলে ক্রেতাকে বর্তমানে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়। এতে এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে লাখ টাকার উপরে লাগছে, যা সাধারণ ক্রেতার ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। একই সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবনায় দেয়া আরো দশটিসহ মোট ১১ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাজুস।
গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহসম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল। সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের পক্ষ দাবিগুলো তুলে ধরেন সংগঠনটির সহসভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো ১২টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিই বিবেচনায় নেয়া হয়নি। তাই এ ১১ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি। একই সঙ্গে ব্যাগেজ রুলের সংশোধন করায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ দেশের অর্থ দেশে রাখার এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজুস মনে করে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করতে জুয়েলারি যাতে আরোপিত কর ও ভ্যাট হার কমানো এবং আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। এতে যেমন সরকারের বৈদেশিক আয় আসবে। তেমনি বাড়বে রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি খাত তৈরি হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি ব্যাগেজ রুল সংশোধন করায়, এ দেশে স্বর্ণের চোরাচালান এবং মুদ্রা পাচার অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আনা গহনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এতে স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতাসাধারণ আকৃষ্ট হবে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে আমরা ১২টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ১টি বাদে অন্য কোনো প্রস্তাবই সংযুক্ত হয়নি। এতে জুয়েলারি শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এ সময় বাজুসের ১১টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি করেন তিনি।
বাজুসের যে ১১টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- স্বর্ণ, স্বর্ণের অলঙ্কার, রূপা বা রূপার অলঙ্কার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা। ইএফডি মেশিন যত দ্রুত সম্ভব নিবন্ধন করে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা। অপরিশোধিত আকরিক স্বর্ণের ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করা। আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আইআরসিধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা ইত্যাদি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়