গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

শাহজাদপুর : প্রস্তুত হচ্ছে লাখো কুরবানির পশু

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় দেশি-বিদেশি জাতের ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।
উপজেলার পৌর এলাকাসহ ১৩টি ইউনিয়নের শত শত খামারে দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। স্থানীয় হাটগুলোর পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এগুলো বিক্রির জন্য শোভা পাবে।
বাড়তি লাভের আশায় খামারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পশুর বাড়তি যতœ আর লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পূরণ করে এখানকার গবাদি পশু।
জানা গেছে, বিভিন্ন বাড়ি ও খামারে এবার ৭৬ হাজার ৮৩৪টি ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। দেশি, শংকর এবং ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল ও অস্ট্রেলিয়ান জার্সিসহ বিদেশি বিভিন্ন জাতের এড়ে বাছুর কিনে স্বল্প বিনিয়োগে মাত্র ৬-৮ মাস লালন-পালন করে এগুলো কোরবানির হাটে বিক্রি করা হয়। সব খরচ বাদ দিয়েও বিনিয়োগের চেয়ে বেশি অর্থ আয় করতে পারবেন বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, দফায় দফায় বেড়ে চলছে গো-খাদ্যের দাম। খামারিদের এখন গো-খাদ্যে খরচ বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। তাই ন্যায্যমূল্যে গরু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। গো-খাদ্যের কারণে কোরবানির পশুর দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় খামারি গাড়াদহ গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর কৃষিকাজ বা বাড়ির অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করে অতি অল্প সময়ে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ বছর তার খামারে রয়েছে ১০টি ষাঁড়। এগুলোকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ছোলা, সবুজ ঘাস, খৈল, ভূষি, চিটা গুড়, গম, মসুর, কালাই, খেশারি, জব ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়।
শাহজাদপুর পৌর সদরের রূপপুর মহল্লার হেকমত আলী জানান, এ বছর তিনি ১১টি ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, এবার ভারত বা মিয়ানমার থেকে কোনো গরু না এলে লাভবান হবেন।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে শাহজাদপুরে এক লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। এর মধ্যে ৭৬ হাজার ৮৩৪টি ষাঁড়, ২১ হাজার ৩৬৫টি ছাগল ও ১৩ হাজার ৬৪৬টি ভেড়া রয়েছে। আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ষাঁড় হৃষ্টপুষ্ট করার কাজে উপজেলা পাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা দেয়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়