গণতন্ত্র মঞ্চের হুঁশিয়ারি : সমাবেশে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না

আগের সংবাদ

পাহাড় কাটার হিড়িক, দুই ফসলি জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ভাটায়

পরের সংবাদ

গাজীপুরে আ.লীগের মূল্যায়ন সভায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি : আহত ৬

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মূল্যায়ন সভায় নৌকার জন্য নিবেদিত কর্মীদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। নৌকার পরাজিত প্রার্থী ও সদ্য নিয়োগ পাওয়া গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খানের সামনেই নেতাকর্মী চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরের গাছা থানা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বোর্ড বাজার এলাকার মোল্লা কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল বলেন, সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়ার কারণ উদ্ঘাটনে মূল্যায়ন সভার আয়োজন করে গাছা থানা আওয়ামী লীগ। সভায় দলের ত্যাগী নেতাকর্মীকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদার এক কর্মীকে সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় অনেকে অভিযোগ করে বলেন- ‘এদের গাদ্দারির কারণেই নৌকার পরাজয় হয়েছে।’ এ নিয়ে হট্টগোলের এক পর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়।
গাছা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হন। পরে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান উত্তেজিত নেতাকর্মীর উদ্দেশে বক্তব্য দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর আগেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ।
পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সভায় উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতেই দ্বিতীয় দফায় হট্টগোলের চেষ্টা চালানো হয়। তবে বিক্ষুব্ধরা সেই সুযোগ পায়নি। আহতদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগ নেতা হাসান উদ্দিন মাস্টার, এমারত হোসেন, ফরহাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, রমজান আলী ও আশিকুর রহমান। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন।
অনুষ্ঠানে হট্টগোলের বিষয়ে আজমত উল্লা খান সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনো সভায় এ ধরনের হট্টগোল করার অর্থ হলো দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন যখন আমাদের মিটিংয়ে এসে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তৎপরতা চালায়, একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে সেটা দুঃখজনক, লজ্জাজনক।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীর উদ্দেশে বলেন, দলের নেতাকর্মী হয়ে যারা নৌকাকে পরাজিত করেছেন, তাদের লজ্জা থাকা উচিত। মঞ্চে যারা বক্তব্য দিতে চান, কথা বলতে চান, তারা সবাই তার নিজ কেন্দ্রের ফলাফল আগে ঘোষণা করবেন। তারপর কথা বলা শুরু করবেন। আপনার কেন্দ্রের ফলাফল জানা না থাকলে কথা বলার প্রয়োজন নেই। দলকে সুসংগঠিত করতে হবে, যেন আগামী দিনে কেউ আবার দলের মধ্যে ঢুকে বিভ্রান্তি করে নৌকাকে হারিয়ে দিতে না পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়