তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

৬ প্রতারক গ্রেপ্তার : ৯ লাখ টাকায় সৌদি রিয়াল কিনে মিলল গামছা!

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : এটিএম মাহবুবুল আলম (ছদ্মনাম) ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়াল কিনতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। কম দামে রিয়াল দেয়ার লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। বিনিময়ে ওই চিকিৎসক পেয়েছেন গামছায় মোড়ানো সাদা কাগজ। সম্প্রতি এমন প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে ওই চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লিয়াকত (৩৫), মিরাজ তালুকদার (৫০), মো. আহাদ শেখ (৫৮), হায়দার মৃধা (৫৭), মফিজুল মিয়া (৩৫) এবং ইমারাত মোল্লা (৬১)।
জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ রোড দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মাহবুবুল। এ সময় তিনি প্রতারক চক্রের টার্গেটে পড়েন। কোথায় সৌদি রিয়াল ভাঙানো যায় সে বিষয়ে মাহবুবুলের কাছে জানতে চান সিরাজ নামে অপরিচিত এক ব্যক্তি। এরপর পাশে থাকা এ আর মানি এক্সচেঞ্জ দেখিয়ে দেন মাহবুবুল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার জন্য মাহবুবুলকে অনুরোধ করেন প্রতারক সিরাজ। বয়স্ক ব্যক্তি দেখে সিরাজকে সাহায্য করতে রাজি হন মাহবুবুল।
এরপর এ আর মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ১০০ রিয়াল পরিবর্তন করে টাকা নেন সিরাজ। সেখান থেকে বের হয়ে মাহবুবুলকে সিরাজ জানান, তার কাছে আরো অনেকগুলো সৌদি রিয়াল আছে। সেসব মানি এক্সচেঞ্জের চেয়ে কম মূল্যে দিতে চান। ৯ লাখ রিয়াল মাত্র ৯ লাখ টাকায় দেবেন তিনি। প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান মাহবুবুল। গত ১ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে মাহবুবুলকে আসতে বলেন সিরাজ। কথা মতো তিনি সেখানে যান। তখন সিরাজের সঙ্গে আসা আরো দুই ব্যক্তি তাকে একটি ব্যাগ দেন এবং এর বিনিময়ে নগদ ৯ লাখ টাকা নেন। তারা জানান, ব্যাগের মধ্যে ৯ লাখ রিয়াল আছে। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাসায় গিয়ে ব্যাগটি যেন খোলা হয়। কথামতো মাহবুবুল বাসায় গিয়ে ব্যাগটি খুলেন এবং দেখতে পান এর ভেতরে রিয়াল নয়, গামছা দিয়ে মোড়ানো কিছু কাগজ রয়েছে। এ ঘটনায় ২৫ মার্চ বনানী থানায় মামলা করেন মাহবুবুল। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ডা. মাহবুবুল আলম ভোরের কাগজকে বলেন, ‘আমার বোন হজে যাচ্ছেন। কম দামে এত রিয়াল কেনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। তবে আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় সবাই যেন সচেতন হয়। অপরিচিত কাউকে সাহায্য করার ব্যাপারে আবেগ নয়, বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করতে হবে।’
বনানী থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার পর গত ২১ মে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে লিয়াকত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৫ মে রাতে চক্রের বাকি ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি। বনানী থানার উপপরিদর্শক নুর উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার মিরাজই সেই প্রতারক সিরাজ বলে স্বীকার করেছে। এ প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতারণা করে আসছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়