তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

স্বস্তি ফেরেনি ভোগ্যপণ্যের বাজারে, ঈদ ঘিরে অস্থির মসলার বাজার

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই অস্থির হতে শুরু করেছে মসলার বাজার। এক মাস আগে এক দফা দাম বাড়ার পর নতুন করে দশ রকমের মসলার কেজিতে ৩০ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এদিকে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগি ও সবজি। সব মিলিয়ে ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফেরেনি।
চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে জিরা, ধনিয়া, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ দশ ক্যাটাগরির মসলার দাম গত এক মাসের ব্যবধানে আরো বেড়েছে। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে মেথি ১৬০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে পাঁচফোড়ন ২শ, তেজপাতা ২শ, ধনিয়া ২৪০ ও সরিষা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কেজিতে ১শ টাকা বেড়ে গোলমরিচ ১১শ টাকা, ১৩০ টাকা বেড়ে জিরা ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া কেজিতে ৩শ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি লবঙ্গ ১৮শ ও এলাচের দাম ঠেকেছে ২৬শ টাকায়।
তাছাড়া পাইকারিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের মসলা ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা অনুপাতে সরবরাহ অনেক কম হওয়ায় মসলার দাম আরেক দফা বেড়েছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেটের সাধারণ সম্পদক মো. ইদ্রিস বলেন, আমদানি কম থাকায় মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। আশা করছি আমদানি বাড়লে দাম ক্রেতার নাগালে আসবে। এদিকে ভারতের পেঁয়াজ এখনো খাতুনগঞ্জে প্রবেশ করেনি। পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে।
অন্যদিকে মাছের বাজারের আগুন এখনো নিভেনি। দেশীয় মাছের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও তা ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। তবে দাম বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের। বাজারে পাবদা ৪৫০ টাকা, লইট্টা ২৪০ টাকা, তেইল্ল্যা ৫০০ টাকা, রুপচাঁন্দা ৭০০ টাকা, কালাচাঁন ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, কাতলা সাড়ে ৩শ, শিং ৩৫০, পাঙ্গাস ২২০ টাকা, টেংরা ৪৫০, কৈ ৪০০ টাকা, রুই ৩৫০ টাকা, ইলিশ ১০০০ টাকা ও কৈ কোরাল ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী মো. দিদার বলেন, সাগরে সরকার থেকে এখন মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাও অনেকে চুরি করে মাছ ধরতে সাগরে যান। তাই সামুদ্রিক মাছের দাম একটু বাড়তি।
এদিকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ৭০, কাঁকরোল ৬০ টাকা, তিতকরলা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, লাউ ৪০, পটল ৬০, লতি ৬০, টমেটো ৫০ ও ধুন্দল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ২শ টাকা। পাশাপাশি সোনালি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৮৫০ থেকে ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা দোকানগুলোতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া খোলা আটা ৫৫ টাকা ও প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আদা ২৫০ টাকা, রসুন ১৫০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারও মোটামুটি স্থিতিশীল। বাজারে মিনিকেট আতপ ৬২ টাকা, নাজির শাইল সিদ্ধ চাল ৮০ টাকা, জিরা সিদ্ধ চাল ৭০ টাকা, মিনি সিদ্ধ চাল ৫৩ টাকা, মোটা চাল ৫২ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়