তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

মোংলায় ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ার প্রস্তুতি চলছে

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর থেকে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে। ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজের পর এখন সেখানে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী বছর এ ধরনের জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্যে ড্রেজিং কাজ বেশ জোরেশোরেই চলছে। এছাড়া মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটে সহজে কার্গো জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থাও নিচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিন দিন মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে। বহুদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই দেশের ৯০ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোংলা বন্দরের চাহিদা অনেকাংশে বেড়েছে। বন্দর চ্যানেলে নাব্য বাড়ার ফলে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও বেড়েছে। বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। চ্যানেলের ইনার বারে শুরু হওয়া ড্রেজিং কার্যক্রম এখন প্রায় শেষের পথে। এরই মধ্যে সেখানে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। বন্দরের ইতিহাসে এর আগে এত বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভেড়েনি। আগামী বছর ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী জানিয়েছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ধরনের ভারী যন্ত্রাংশ নিয়ে বড় বড় জাহাজ মোংলা বন্দরে সহজেই ভিড়ছে এবং মালামাল খালাস করে প্রকল্প এলাকায় পাঠানো হয়েছে। রূপপুরের মালামাল নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৫টি জাহাজ মোংলায় সহজেই ভিড়েছে। এই প্রকল্পের মালামাল নিয়ে আরো জাহাজ এই বন্দরে আসবে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের পতাকাবাহী জাহাজ আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায় মোংলায় ভিড়ছে। চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরে এখন ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারছে। পরবর্তীতে সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ ভেড়ানোর উপযোগী করে বন্দরটি গড়ে তোলা আমাদের টার্গেট। মোংলা বন্দরে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানোর রেকর্ডের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। বন্দরের সক্ষমতা ও অবকাঠামো আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে বৃহৎ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কম সময়ে ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরে যাতায়াত করা যাচ্ছে। সেই তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দরে যাতায়াতে বেশি সময় লাগছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানিকৃত পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে আনতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এই বন্দর থেকে সড়ক পথের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নৌপথেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজে মালামাল পরিবহন সহজ। মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্য উন্নয়নে বিআইডব্লিউটিএ উদ্যোগ নিয়েছে। এই নৌরুট ব্যবহার করা হলে পণ্য পরিবহনের খরচ কম হবে। এতে ব্যবসায়ীরা সুবিধা পাবেন।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি)-ভুক্ত জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটে নৌযান চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার ওপর গুরুত্বরোপ করা হয়। বিআইডব্লিউটিএকে পরিকল্পিতভাবে নৌরুটের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে নৌপথের নাব্য রক্ষায় কাজ করার কথাও বলা হয়।
উল্লেখ্য, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরএডিপিভুক্ত ৩৪টি, নিজস্ব অর্থায়নে ৪টি এবং স্কিমের আওতায় ১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য ৪ হাজার ৬৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়