তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদনে রেকর্ড

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে : পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া খনি থেকে গত মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১ লাখ ৩৮ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে কখনোই এক মাসে এত বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন ঠিকাদার জিটিসি খনি ভূগর্ভে অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের মাইনিং ইক্যুইপমেন্ট বসানোর পাশাপাশি ইউরোপিয়ান সুদক্ষ প্রকৌশলী দল ও দক্ষ খনি শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন শিফটে ৫ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক শিফটে গড়ে ১ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এর ফলে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ বছরে খনিটি লোকসান দিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৬ বছরের জন্য খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোস্ট্রয় ও দেশীয় একমাত্র মাইনিং কাজে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে গঠিত জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। বর্তমানে খনি ভূগর্ভে অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের মাইনিং ইক্যুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। ইউরোপিয়ান সুদক্ষ প্রকৌশলী দল ও দক্ষ খনি শ্রমিক দিয়ে পাথর উত্তোলন কাজ চালানো হচ্ছে। জিটিসির হাত ধরে খনিটি গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখে। জিটিসি পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন করায় টানা চার অর্থবছর ধরে মুনাফা করে আসছে খনিটি। জিটিসির প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি শেষ হওয়ার অন্তত ৬ মাস আগে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ৭ দফা আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও বিদেশিদের কাছ থেকে তেমন সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় খনির পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং জিটিসির পারফর্ম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে গত ২০২১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে চুক্তি কার্যকর করা হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। দ্বিতীয় দফা চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ বছরে প্রায় ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে দেবে। জিটিসি সুষ্ঠুভাবে খনি পরিচালনা করতে পারলে একদিকে দেশে পাথরের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হবে, অপরদিকে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়সহ বেকার সমস্যারও অনেকটা সমাধান হবে।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মো. ফরিদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে জানান, গত মে মাসে খনি থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টন পাথর। সবার সহযোগিতা থাকলে

বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টন পাথর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়