কাগজ প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারীর বিরুদ্ধে এক বিধবা নারীর বাড়ি দখল এবং ভাড়াটিয়াদের উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেও রেহাই পাচ্ছেন না সুলতানা আক্তার নামে ওই ভুক্তভোগী নারী।
জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সুলতানা গত ২৬ মে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে সুলতানার স্বামী মারা গেলে ওয়ারিশসূত্রে ও অন্য শরিকদের সঙ্গে আপস বণ্টনে সুলতানা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার বাসায় বসবাস শুরু করেন। আয় রোজগারের কোনো উৎস না থাকায় পশ্চিম পাইকপাড়ার বাসায় দুটি ঘর ভাড়া দেন সুলতানা। ভাড়া থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে চলে খরচ। সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে স্বামীর তিন ভাই, তিন বোন ও ভাগিনাদের সঙ্গে সুলতানার বিরোধ দেখা দেয়। কয়েক মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে স্বামীর বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে একটি বণ্টননামা মামলা করেন। কাউন্সিলর মিজানুর রহমান অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাড়িটি দখলে নিতে সুলতানা ও তার মেয়েকে নানাভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ করছেন। গত মঙ্গলবার রাতেও বাড়িতে লোক পাঠিয়ে সুলতানা ও তার ভাড়াটিয়াকে সেখান থেকে উঠে যেতে বলেন। প্রতিবাদ করায় এলাকার বখাটে কিশোর ও যুবকদের সুলতানা ও তার মেয়ের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন কাউন্সিলর। সুলতানা বেগম বলেন, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারী এলাকার কিশোর গ্যাং দিয়ে আমার ভাড়াটিয়াদের বসতবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছেন। কাউন্সিলর মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, ওই বাড়ির দক্ষিণ ও উত্তরদিকে পৌরসভার মেয়র নায়ার কবিরের বাড়ি। বাড়িটি বিক্রি হবে জেনে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মেয়র। বাড়ির অন্যান্য প্রকৃত মালিক ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট মেয়রের ছেলে ও আমার নামে বায়না দলিল করে দিয়েছে। আমি তাদের কোনো ধরনের হয়রানি করছি না। হুমকিও দিইনি। তবে তার বাসার এক ভাড়াটিয়া আমার আত্মীয়।
পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিধবা নারীকে আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে। কোনো অত্যাচার যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।