তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

তেঁতুলিয়ায় মজুরি বৈষম্যের শিকার নারী পাথর শ্রমিকরা

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদুর রহমান জাবেদ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে নারী পাথর শ্রমিকরা। পুরুষের পাশাপাশি সমান কাজ করলেও ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না তারা। তবে এই বৈষম্য দূর করতে নেই কোনো পদক্ষেপ।
নারী শ্রমিকদের দাবি, হাতুড়ি দিয়ে বড় পাথর ভাঙার ক্ষেত্রে তাদের মজুরি কিছুটা বেশি হতে পারে। কিন্তু ক্র্যাশিং মেশিন দিয়ে পাথর ভাঙতে পুরুষ ও নারী সমান পরিশ্রম করে। সেক্ষেত্রে সারাদিন কাজ করে পুরুষ শ্রমিকরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুুরি পায়। আর একই কাজ করে নারী শ্রমিকরা পায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
জানা গেছে, তেঁতুলিয়ায় পাথর শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট এলাকা থেকে আসা সংখ্যালঘু ও আধিবাসী নারী-পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যাও প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। অন্য জেলা থেকে আসা এসব পাথর শ্রমিক উপজেলার বাংলাবান্ধা, সিপাইপাড়া, তিরনইহাট, শালবাহান, বালাবাড়ী, মাঝিপাড়া, ভজনপুর ও বুড়াবুড়ি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ করেন। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে সংসারের যাবতীয় কাজ গুছিয়ে পুরুষের সঙ্গে পাথর সাইটগুলোতে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন নারী শ্রমিকরা। ১০ থেকে ১৫ জনের দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করেন তারা। তাদের সঙ্গে ৪-৫ জন পুরুষ শ্রমিকও কাজ করেন। কিন্তু সমান পরিশ্রম করলেও পুরুষের তুলনায় কম মজুরি পান নারী শ্রমিকরা।
নারী পাথর শ্রমিক অর্পিতা রাণী বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে মহাজনের পাথর সাইটে পৌঁছাতে হয়। কাজে দেরিতে পৌঁছালে মহাজনের গালাগালিও শুনতে হয়। কাজের চাপে সারাদিন সন্তানদের কোনো খোঁজ নিতে পারি না। একই কাজ করার পরেও আমরা নারীরা পুরুষের তুলনায় মজুরি কম পাই।’
ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জহুরা বলেন, ‘কয়েক বছর আগে সংসার ছেড়ে ঢাকাত গিয়া স্বামী আরেকটা বিহা করিছে। এইঠে মুই পাথর ভাঙা মেসিনত কাজ করে দুই ছুয়াক লেখাপড়া ও সংসার করছু। স্বামী এই সংসারের কোনো খবর নেন না।’ এই নারী শ্রমিকের আক্ষেপ পুরুষ শ্রমিকদের দেরি হলেও মহাজনরা কাজে নেন। কিন্তু নারী শ্রমিকদের দেরি হলে মহাজনরা কাজে নেন না। পুরুষের সঙ্গে সমান কাজ করেও তারা ১০০ টাকা মজুরি কম পান।
এ বিষয়ে পাথর ব্যবসায়ী ও বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন বলেন, ‘নারী শ্রমিকরা বেতন কম পান। তবে এই বৈষম্য আগের চেয়ে অনেকটা দূর হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা মিলে সব কাজেই নারী ও পুরুষ শ্রমিকের সমান মজুরি দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এই বেতন বৈষম্য দূর হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়