তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

জাল সনদে চাকরি সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা : সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার সুলেমান আহমেদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বিশেষ জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পৌর শহরের বাঁধনপাড়ার মো. সাজিদুর রহমান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. মোহাম্মদ ছমিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সহকারী বিবেকানন্দ গোস্বামী, অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মোহাম্মদ শরিফুল হাসান, সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম। আদালতে বাদীর পক্ষে মামলাটি করেন আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী, নিরঞ্জন তালুকদার ও সাজ্জাদুর রহমান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালের স্টোর কিপার সুলেমান আহমেদ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরের বাসিন্দা হলেও তিনি নিজেকে জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালালাবাদ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা বলে ঠিকানা ব্যবহার করে ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য সহকারী পদে যোগদান করেন। প্রতারণার মাধ্যমে নাগরিকত্বের জাল সনদ ও ভোটার তালিকায় নাম-ঠিকানা উঠিয়ে অসদুপায় অবলম্বন করে চাকরি নেন তিনি। সুলেমান বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে স্টোর কিপার পদে যোগদান করেন। এরপর থেকে তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট পুরো হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করছে। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি বিপুল অর্থসম্পদের মালিকও হয়ে যান সুলেমান। বাদী অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, হাসপাতালের স্টোর থেকে ওষুধ চুরি, নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত সুলেমান।
দুদকের সুনামগঞ্জের কৌঁসুলি আইনুল ইসলাম বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন। সুলেমান আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার নিয়োগ ও বদলি সব যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছে। একটি পক্ষ হাসপাতাল থেকে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এ মামলা করিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়