তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

চাকরি ও জনপ্রতিনিধিত্ব দুটোই করেন জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং চকহরি নারায়ণ দাখিল মাদরাসা ও সংযুক্ত (এসএসসি) ভোকেশনালের ড্রেসমেকিং ল্যাব সহকারী।
এ বিষয়ে গত ২৪ মে মান্দা উপজেলার চকহরি নারায়ণ গ্রামের ইয়াছিন আলী প্রামাণিকের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ২০০৩ সালের ১ মার্চ থেকে চকহরি নারায়ণ দাখিল মাদরাসা ও (সংযুক্ত) ভোকেশনালের ড্রেসমেকিং ল্যাব সহকারী পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই দায়িত্বে থাকা অবস্থায়ই তিনি ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নিয়মানুযায়ী জনপ্রতিনিধির নির্বাচন করতে হলে প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতিপত্র নেওয়া অবশ্যক। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলম নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি জয়লাভও করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত ইিউনিয়ন পরিষদ ও ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন ও সম্মানি ভাতা নিচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগ রয়েছে, একই সঙ্গে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ফাঁকি দিয়ে বেতন উত্তোলন করে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে শিক্ষা সংশিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে তাকে প্রতিষ্ঠানে পায়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ইউপি জাহাঙ্গীর আলম সদস্য মাদরাসা সুপারিনটেডেন্ট আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগসাজশ করে তারিখ বিহীন ছুটির আবেদন জমা দিয়ে ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ান জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধি একইসঙ্গে বেতন ও সম্মানি ভাতা ভোগ করছেন। চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা দেয়ায় চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে সিদ্দিকুর রহমান পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
সুপারিনটেন্ডেন্ট আব্দুল মান্নান বলেন, জাহাঙ্গীর আমার প্রতিষ্ঠানের ল্যাব সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পাশাপাশি তিনি নূরুল্যাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম সেখ বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়