কাগজ প্রতিবেদক : ঐতিহ্যবাহী শিশু-কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও প্রীতি সম্মেলন উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চাঁদের হাট কেন্দ্রীয় পরিষদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত। এরপর গাওয়া হয় সংগঠন সংগীত ‘সুন্দর হবো একটি শপথে/ আমরা দীপ্ত সেনা/সূর্যের সাথী হয়েছি যখন/ আঁধার তো থাকবে না।’
এদিকে ৪০ বছর পূর্তি উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন চাঁদের হাট সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ শাহ আলমগীর, জাহাঙ্গীর আলম, রিটু খন্দকার। আজ তারা বেঁচে নেই। তাই সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে তাদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন, সাবেক সভাপতি, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও প্রীতি সম্মেলনের সভাপতি মো. জাকারিয়া পিন্টু, সদস্য সচিব মুফদি আহমেদ প্রমুখ।
সাইফুল আলম বলেন, সুন্দর কিছু সৃষ্টি করা কঠিন। যদি একবার সুন্দরের রাস্তা তৈরি হয়ে যায়, সেই রাস্তায় সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, অনেক সুন্দরের ফুলে এসে ভিড় করে। চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষের অবদান আছে। তারাই অনেক সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরি করেছেন। তাদের অবদানের কারণে আজ এই সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে পারছি। তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। চাঁদের হাট আবার জেগে উঠুক, উজ্জীবিত হোক, দেশময় ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা করি।
লিখিত বক্তব্যে মুফদি আহমেদ বলেন, সেই ১৯৭৪ সাল থেকে রফিকুল হক দাদুর নেতৃত্বে এক ঝাঁক তরুণ এই সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বরা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে।
তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আশির (১৯৮০) দশকে সারাদেশে আলোড়ন তোলা চাঁদের হাট এখন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। যতদূর যাওয়ার প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। শুধু চাঁদের হাট নয়, দেশের প্রায় শিশু সংগঠনেরই একই অবস্থা। তবে অন্যদের তুলনায় চাঁদের হাটের অতীত অনেক গৌরবজ্জ্বল।