তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্য

আগের সংবাদ

সিগন্যালের ভুলেই দুর্ঘটনা : শোকে কাতর পুরো ভারত > তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ২৮৮, আহত সহস্রাধিক

পরের সংবাদ

উপসহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ : মাদারগঞ্জের চরপাকেরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী মাহাবুবুল আলম মিলনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ১নং চরপাকেরদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জামালপুুর জেলা প্রেস ক্লাবে। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল নিজ ভূমির হোল্ডিং খোলার জন্য চরপাকেরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে মাহাবুবুল আলম মিলন হোল্ডিং খোলার কাজটি না করে অন্য মানুষ দিয়ে হোল্ডিং খোলে চারশত টাকা জোরপূর্বক নিয়েছেন বলে আলী হোসেন তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
আলী হোসেন স্বপন বলেন, যে আমার কয়েক শতাংশ ভূমির নামজারি করার জন্য কত টাকা খরচ লাগবে জানতে চাইলে উপসহকারী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম মিলন আমার কাছে দশ হাজার টাকা দাবি করে এবং বলে যে এর কমে হবে না। মাহাবুবুল আলম মিলন চরপাকেরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই সঠিক সময়ে অফিসে আসে না। তিনি প্রতিদিন ১২টা এবং একটায় অফিসে আসেন। অফিসে দেরি করে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসে কাজ ছিল। এতে এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের ডিজিটাল ভূমি সেবা থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। সাধারণ মানুষ এই ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসলে এই কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ভূমির নামজারি করতে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পর উপজেলা ভূমি অফিস থেকে যখন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসে তখন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ওই ভূমির মালিককে তার অফিসে ডেকে আনে এবং মোটা অংঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর যদি টাকা না দেয় তাহলে তার ভূমির নামজারি কয়েক মাসেও হয় না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। এর আগেও এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ভূমি নামজারি করার সংবাদ দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল তারপরেও তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয়নি। তার পেছনে খুঁটির জোর রয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে মাহাবুবুল আলম মিলনের ফোনে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথার উত্তর না দিয়ে বালিজুড়ী ইউনিয়নের উপসহকারী সোলাইমানের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইলিশায় রিছিল জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়