প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : ডলার সংকট এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও স্বস্তি ফেরেনি। সরবরাহ ব্যবস্থাও টালমাটাল। এরমধ্যে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ হওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করা হয়েছে, যা উচ্চাকাক্সিক্ষ এবং বেশ চাহিদাপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে বেধে রাখা বাস্তবসম্মত মনে হয় না। গত এক বছরে মূল্যস্ফীতির যে বেহাল দশা হয়েছে তা স্বাভাবিক করতে তেমন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বাংলাদেশের মুদ্রানীতি থেকে শুরু করে সুদের হার নিয়ে যে এক ধরনের দ্বা›িদ্বক অবস্থা বিরাজ করছে, এসবের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা চিন্তা অবাস্তব।
ঘাটতি বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণ হতে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অথচ দেশের ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরেই নানা সংকটে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর এ ঋণ দেয়ার সক্ষমতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশি বেশি টাকা ছাপাতে হবে। এ বছর যা করা হয়েছে। আগামীতে যদি আরো টাকা ছাপানো হয়, তাতে মূল্যস্ফীতির উপরে আরো অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি হবে।
দেশ যখন রাজস্ব আদায়ের জন্য পরোক্ষ করের ওপরে বেশি নির্ভরশীল, তখন এটি আয় বৈষম্য সৃষ্টি করে। রাষ্ট্র যখন আমদানি শুল্ক কিংবা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে রাজস্ব আয় অর্জনকে মুখ্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে, তখন এমনিতেই বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আর পণ্যের দাম বেড়ে গেলে কিংবা পণ্যের ওপর ইচ্ছেমতো ভ্যাট আরোপ করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে সমাজের স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
আর্থিক ও রাজস্ব নীতির পাশাপাশি কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনাকেও উল্লেখযোগ্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমি আশা করি যে, সরকারের নীতিনির্ধারকরা মূল্যস্ফীতি হার নিয়ন্ত্রণে অতিগুরুত্ব সহকারে এই বিষয়টির আন্তরিকভাবে সমাধান করবেন। বাজেটে ভালো দিক হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।