ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

বাজেটে সংস্কৃতিকে উপেক্ষার অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সংস্কৃতি খাতে এবার বরাদ্দ বেড়েছে ৬২ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪৩৭ কোটি ও উন্নয়ন ব্যয় ২৬২ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে সংস্কৃতি খাতে সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো এবারো হতাশার কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতিজনরা। তারা বলেছেন, বাজেটে সংস্কৃতি খাতকে ‘উপেক্ষা’ করা হয়েছে এবং এই বাজেটে আমরা ‘হতাশ’। দেশব্যাপী সংস্কৃতিচর্চাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এই বাজেট অপ্রতুল।
বাজেট প্রস্তাবনায় এবার বিনোদন ও সংস্কৃতি খাতে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে। এ চার মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের শিরোনাম ‘বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম’। এ খাতে বরাদ্দ ৫ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা প্রস্তাবিত বাজেটের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৩৭ কোটি টাকা, আর সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৬৬১ কোটি টাকা। মূল বাজেটে পরিচালন ব্যয় ৩৯০ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ২৪৭ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ৩৬৭ কোটি টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় ২৯৪ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৫৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৩৪৮ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ২০৮ কোটি টাকা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, সংস্কৃতি খাত সরকারের কাছে বরাবরই উপেক্ষিত। সংস্কৃতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন না হলে বরাবরই এমনটা ঘটতে থাকবে। তিনি বলেন, সংস্কৃতি খাতে আমরা কখনোই কাক্সিক্ষত বাজেট পাইনি। সার্বিকভাবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে যে ধরনের কর্মযজ্ঞ প্রয়োজন, সেটার বরাদ্দ নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। সংস্কৃতি খাতকে উপেক্ষা করলে অসাম্প্রদায়িক এবং মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা অসম্ভব। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অভিভাবক সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের

সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এবার সংস্কৃতি খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে গতবারের তুলনায় বরাদ্দ কিছুটা বাড়লেও বিগত বছরগুলোর মতো এবারো আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা মনে করি, এই বাজেটে সংস্কৃতি খাতকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছি, সংস্কৃতির কিছু বিষয় বাস্তবায়ন না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অসা¤প্রদায়িক চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বাংলার সার্বজনিন সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে। অথচ এর প্রতিফলন আমরা প্রস্তাবিত বাজেটে পাইনি।
গোলাম কুদ্দুস বলেন, সমাজে সার্বিকভাবে যে অবক্ষয়ের চিত্র দেখতে পাচ্ছি, সেটা হয়েছে সংস্কৃতির বিপর্যয়ের কারণে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রগতিশীল মনন গঠনে সংস্কৃতি খাতে সরকারের আরো বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।
সংস্কৃতি খাতকে উপেক্ষা করায় আগামী ৩ জুন বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এই নেতা। সভায় সংস্কৃতি খাতের বাজেট নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়