কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ২০৪১ সাল এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি মাথায় রেখে বাজেট ঘোষণা করেছেন। সেখানে চ্যালেঞ্জ অবশ্যই আছে। বিশেষ করে কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ চ্যালেঞ্জ হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিল কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা যেহেতু রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে ডলারের দামটা কোথায় যাবে আমরা জানি না। বাজেটে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যদি পূরণ না হয় তাহলে ব্যয় করা তো কঠিন। সেক্ষেত্রে আমাদের কালেকশন বাড়াতেই হবে। বাড়ানোর জন্য আমরা সব সময় যেটি বলি, এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না থেকে জাল বিস্তৃত করা। সহজে যেসব জায়গা থেকে ট্যাক্স কালেকশন করা যায়, ভ্যাট সোর্স, অগ্রিম আয়কর (এআইটি), অ্যাডভান্স ভ্যাট; এগুলো কম করে বরং নতুনদের করের আওতায় নিয়ে আসা।
আমরা সব সময় বলি, সহজ পদ্ধতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। এর জন্য দরকার কাঠামোগত সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আর যারা ট্যাক্স কালেকশন করে, তাদেরও কাঠামোগত সংস্কার দরকার। এবার ১৬ শতাংশ ট্যাক্স গ্রোথ আছে। কালেকশন বেশি করবে বললে আমরা ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে যাই- আমাদের ওপর না চেপে বসে! সব সময় তাই হয়।
ট্যাক্স আরোপে উদ্বেগ প্রকাশ করে জসিম উদ্দিন বলেন, ২৪৪টি আইটেমের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ১৯১টির ওপর রেগুলেটরি ট্যাক্স হয়েছে, আমি মনে করি, এটা ঠিক হয়নি। কারণ লোকাল ইন্ডাস্ট্রির প্রটেকশন কমে যাবে।