ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শোকজ

আগের সংবাদ

বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

পরের সংবাদ

অস্তিত্ব সংকটে ঝিনাই নদী

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর থেকে : এক সময় প্রচুর ঝিনুক পাওয়া যেত বলে নদীটির নাম হয়েছে ঝিনাই।
স্বাধীনতা যুদ্ধসহ নানা কারণে জামালপুরবাসীর জন্য ঝিনাই নদী ঐতিহাসিক একটি নদী। তবে এক সময়ের খর¯্রােতা ঝিনাই নদী এখন শুকনো মৌসুমে মরা গাঙ্গে পরিণত হয়।
স্থানীয়দের দাবি, দখল-দূষণ ও পলি জমে নদীর উৎস মুখ ভরাট হয়ে যাওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ঝিনাই।
জানা গেছে, ঝিনাই নদীর উৎস শেরপুর জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে। আর জামালপুর হয়ে টাঙ্গাইল জেলার বংশী নদীর মোহনায় মিলিত হয়েছে নদীটি। ১৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সর্পিলাকার প্রকৃতির ঝিনাই নদীর গড় প্রস্থ ৭৬ মিটার।
এক সময় এই নদীর পানি দিয়ে দু’পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার জমি চাষাবাদ হতো। নদীর বুকে চলতো পাল তোলা নৌকা, জাহাজ। অথচ সেই নদীর বুকে এখন আবাদ হচ্ছে ধান, মরিচ, পাট, ভুট্টাসহ নানা ফসল। নদী দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে নানা স্থাপনাও।
জামালপুর পৌরসভার কম্পপুর এলাকার বাসিন্দা আনু হোসেন বলেন, ঝিনাই নদীতে এক সময় কুমির ছিল। এখন নদীতে পানি নাই। মরুভূমি হয়ে গেছে।
ঝিনাই নদীর তীরবর্তী হাটচন্দ্রা এলাকার বাসিন্দা শতবর্ষী ইদ্রিস আলী বলেন, দশ পনেরো বছর যাবৎ এই নদীতে পানি নাই। অথচ আগে এই নদী খুব গভীর ছিলো। নৌকা চলেছে। বড় বড় লঞ্চ চলেছে। এখন নদী শুকিয়ে গেছে। নদীর চরে ফসল চাষ করছে চাষিরা।
কম্পপুর এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুজ্জামান বলেন, দখল-দূষণের কারণে গত ১০-১৫ বছর ধরে ঝিনাই নদীতে পানি আসার মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এই নদীতে এখন পানি আসে উল্টাভাবে। আগে পানি আসত ব্রহ্মপুত্র হয়ে। নদীতে তখন খুব ¯্রােত ছিল। এখন ঝিনাই নদীতে পানি আসে যমুনা নদী থেকে। তাই নদীতে পানি নাই।
রশিদপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নদীটি এখন পুনঃখনন করা দরকার। নদী পুনর্খনন করা হলে এলাকাবাসীর উপকারে আসবে।
জামালপুর জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, ভূমি দস্যু ও এক শ্রেণির লোভী মানুষের কারণে ঝিনাই নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীর দুই পাড় দখল হয়ে গেছে। নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে বাঁধ দিয়ে ধান চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া পলি জমে নদীটি ভরাট হয়ে গেছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঝিনাই নদী পুনর্খনন এবং প্রবাহ সচল করার জন্য একটি স্টাডি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তারা যদি এ বিষয়ে কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করে, তাহলে পরবর্তীতে ওখানে নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়