মেজাজ হারালেন টম হ্যাঙ্কস

আগের সংবাদ

টাইগারদের অনুশীলন শুরু আজ : হাথুরুসিংহে আসছেন ৩ জুন

পরের সংবাদ

সেমিনারে শ্যামল দত্ত : যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি গণতন্ত্রের প্রতি দরদে নয়

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার আকাক্সক্ষা থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার নতুন ভিসানীতি প্রণয়ন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি ‘ব্যাপক দরদ’ থেকে করা হয়েছে- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। যে দেশের স্বাধীনতা চায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেই দেশের গণতন্ত্রের বিকাশ তারা চায়- এটা কন্ট্রাডিকটরি।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন শ্যামল দত্ত। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২শ টাকা করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবিতে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’ এর আয়োজক। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ড. হোসেন আবদুল মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি আলী আশরাফ আখন্দ, সাবেক ফুটবলার, কোচ ও সংগঠক রেহানা পারভীন, জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহিন প্রমুখ।
ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে মুক্তিযুদ্ধ। এখানেই আমাদের রক্তের ¯্রােত থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের চেতনার মধ্যে সেটি নেই। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বাংলাদেশে সবার জন্য চাকরি নিশ্চিত করার বিষয়টিও যুক্ত।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা পঁয়ত্রিশ বছর করার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীও মনে হয় এই দাবির সঙ্গে একমত। কিন্তু তার কাছে যৌক্তিকভাবে দাবিগুলো পৌঁছায়নি। তার আশপাশে যারা আছেন, তাদের কাছেও বিষয়টা ভালোভাবে তুলে ধরা হয়নি। তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা পঁয়ত্রিশ করার দাবি পূরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সাবেক স্বাস্থ্য সচিব ড. হোসেন আবদুল মান্নান বলেন, সেশন জটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স পার হয়ে যায়। চাকরি না পেয়ে পরিবার ও সমাজের কাছে হেয় হতে হচ্ছে তাদের। এটা কতটা কষ্টের তা কেবল ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারেন। ৩৫ না হোক অন্তত ৩৩ বছর পর্যন্ত চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা করা এখন সময়ের দাবি। আর এই দাবি বাস্তবায়নে আর একদিনও বিলম্ব করা উচিত নয়। আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যদি সঠিকভাবে য্ুিক্তগুলো তুলে ধরা যায়, তাহলে অবশ্যই এই দাবি পূরণ হবে।
সেমিনারে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ মে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় ৩০ বছর বয়সি প্রার্থীদের চেয়ে ২৫ বছর বয়সিরাই ভালো করে। এই যুক্তিকে খণ্ডন করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৩০ বছর বয়সে (শুধু বিসিএস) পাসের হারের রিপোর্ট দিয়ে সমগ্র চাকরির বাজারকে বিবেচনা করা যাবে না।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ সামগ্রিক চাকরির বাজারের রিপোর্ট দেখে প্রমাণ করা যাবে যে, ৩০ বছর বয়সে আরো বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। কারণ একটি বিসিএস দ্বারা মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার প্রার্থী নিয়োগ সম্ভব, যা গোটা চাকরির বাজারের ২ শতাংশেরও কম। তাই শুধু বিসিএসে পাসের হারের রিপোর্ট নয়, সমগ্র চাকরির বাজারের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করলেই সঠিক চিত্র ফুটে উঠবে। এছাড়া সরকারি চাকরি মানেই শুধু বিসিএস ক্যাডার নয়। তাই বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি উঠলেই, বিসিএসের উদাহরণ দেয়া অযৌক্তিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়