কাগজ প্রতিবেদক : মার্কিন নয়া ভিসানীতির ঘোষণাকে বিশ্বপরিসরে মার্কিন মোড়লিপনার সর্বশেষ উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল শনিবার পার্টির পলিটব্যুরো থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নীতিতে অসন্তুষ্ট হয়ে তাদের রেজিম চেঞ্জ যে পুরানো নীতি অনুসরণ করছে এ নয়া ভিসানীতি সেই কৌশলের অংশ। কিন্তু নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে চিলি, বাংলাদেশ, ইরাক, আফগানিস্তানের মতো দেশে দেশে ক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটানোর অতীতের সক্ষমতা আর নেই। আর তাই তারা এখন ‘স্যাংশন’, ‘ভিসানীতি’, ‘বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছে। বাংলাদেশকেও তারা এর মাধ্যমে বাগে আনতে চাচ্ছে। এর সঙ্গে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কোনো বিষয় নেই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কিন এসব কূটকৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, তাদের এ নতুন ভিসানীতিতে সাধারণ মানুষের কিছু যায় আসে না। যারা ব্যাংক লুট করে টাকা পাচার করছে, অবৈধ বাণিজ্যে লিপ্ত এবং যেসব সামরিক- বেসামরিক কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচনা করে তারাই এ ভিসানীতিতে আতঙ্কিত হবে এবং তাদের কথা অনুযায়ী কাজ করতে উদ্যোগী হবে।
মার্কিন এ ভিসানীতিতে বিএনপিসহ তাদের সহযোগীদের উল্লসিত হওয়া প্রসঙ্গ তুলে ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে মন্তব্য করে, ‘পাগলের সুখ মনে মনে’। তারা বস্তুত: ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের’ আশায় এই ভিসানীতির সমর্থনে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অতীতে তাদের যেমন প্রত্যাখ্যান করেছে, এবারো করবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন তার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এদেশের জনগণই নিজেরাই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তার উদাহরণ।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে পরিশেষে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে যেমন বাংলাদেশের বিজয়কে ঠেকাতে পারেনি, তেমনি তথাকথিত ভিসানীতির লাঠ্যৌষধি দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।