টিপু হত্যা মামলা : আসামি জিতুর জামিন শুনানি মুলতবি

আগের সংবাদ

সুষ্ঠু ভোটে সন্তোষ প্রকাশ স্থানীয়দের

পরের সংবাদ

শুধু কোমল পানীয় খেয়ে ১৭ বছর

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : গোলামরেজা আরদেশিরি। আবাসস্থল ইরান। সম্প্রতি এই বৃদ্ধ দাবি করেছেন, তিনি না-কি ১৭ বছর ধরে কোনো খাবার এবং পানি খাননি। শুধু কোমল পানীয় খেয়েই বেঁচে আছেন। বৃদ্ধের এমন অদ্ভুত দাবি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। আরদেশিরি, একজন মধ্যবয়সি ব্যক্তি যিনি ফাইবারগাস মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পেপসির মতো কার্বনেটেড পানীয় নাকি তার জীবনধারণের উৎস, এমনটাই জানিয়েছেন আরদেশিরি। যখনই তিনি ক্লান্ত বোধ করেন তখনি দেহের শক্তি বৃদ্ধির জন্য কার্বনেটেড পানীয়ের ওপর নির্ভর করেন। গোলামরেজা জানিয়েছেন তিনি ২০০৬ সালের জুনে খাদ্যগ্রহণ বন্ধ করেন। তারপর দুই দশক ধরে খাবার ছুঁয়ে দেখেননি এই বৃদ্ধ। তার এই অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সত্ত্বেও, পেশার প্রতি আর্দেশিরের নিবেদন তাকে তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সমর্থন করতে সক্ষম করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি তার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য যথেষ্ট তহবিল সরবরাহ করতে পেরেছিলেন।
এই অসাধারণ জীবনযাপন অনেককে বিমোহিত করেছে। কীভাবে আরদেশিরির শরীর অদ্ভুত খাদ্য পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে সে সম্পর্কে কৌতূহলী বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ।
ইরানি এই বৃদ্ধ বলেন, ‘কোনো দুর্ঘটনার কারণে নয়। আমি হঠাৎ করেই কোমল পানীয় খাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি’। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার সব সময় মনে হয় মুখের ভেতর চুলজাতীয় কিছু রয়েছে। কোনোভাবেই সেটিকে বার করা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরাও আমার এই রোগটিকে ধরতে পারেননি। আর সেই কারণেই আমার খাবারের প্রতি অনীহা। খিদেই পায় না।’
একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া সত্ত্বেও, গোলামরেজা আরদেশিরি স্বীকার করেছেন যে, কোমল পানীয়ের ওপর তার একচেটিয়া নির্ভরতার কারণ বিশেষজ্ঞরাও সেটি বুঝতে পারেননি। তার পরিবার অবশ্য স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসেই অভ্যস্ত। আরদেশিরির ঘুমের সময়সূচিও বেশ অদ্ভুত, প্রতি রাতে মাত্র চার ঘণ্টা বিশ্রাম নেন তিনি । ঘুমের ঘাটতি পূরণের জন্য তিনি নাকি প্রতিদিন তিন লিটার কার্বনেটেড পানীয় গ্রহণ করেন- যা তার শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়